গুজরাতঃ সেতুটি মানুষের ভারে দু-টুকরো হয়ে যায়, উপযুক্ত পরীক্ষা ছাড়াই চালু করা হয় সেতুটি , বলছে পুরসভা

ভয়েস ৯, নিউজ ডেস্কঃ আজকের সন্ধ্যায় দেওয়ালীর ছুটি উপভোগ করতে ওই সেতুতে উঠেছিলেন বহু মানুষ। ছিলেন শিশু, মহিলা, কিশোর-কিশোরী। কিন্তু প্রচন্ড ভিড়ের চাপে ১৪০ বছরের পুরানো কেবল সেতুটি দু'টি ভাগে ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনায় ছিটকে পড়েন বহু মানুষ। অনেকেই চাপা পড়ে যান জলের নীচে। সেতুটি ধসে পড়ার পরপরই কর্তৃপক্ষ স্থানীয়দের সহায়তায় মাচু নদীতে পড়ে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার করতে শুরু করে বলে জানা গেছে। ঘটনার সময় প্রায় ৪০০ জন লোক সেতুতে ছিলেন এবং তাদের মধ্যে কমপক্ষে ১০০ জন নদীতে পড়ে যায়। উল্লেখ্য, সংস্কারের জন্য ছয় মাস বন্ধ থাকার পর পাঁচ দিন আগে সেতুটি পুনরায় চালু করা হয়। 
এই মুহুর্তে নদী থেকে চলছে জল সরিয়ে মৃতদেহ উদ্ধারের কাজ। এখন পর্যন্ত জানা গেছে, মৃতদের মধ্যে ১০ জন শিশু ছিল। কান্তি অম্রুটিয়া নামে এক ব্যক্তি দাবি করেছেন যে তিনি ৬০ টি মৃতদেহ দেখেছেন। 
কচ্ছ ও রাজকোট থেকে সাঁতারুদের দল এবং রাজকোট থেকে ৭ টি ফায়ার ব্রিগেড এবং ১ টি এসডিআরএফ রওনা হয়েছে। গান্ধীনগর থেকে এনডিআরএফের দুটি দল পাঠানো হয়েছে। কন্ট্রোল রুম এবং হেল্পলাইন নম্বর ০২৮২২ ২৪৩৩০০ ঘোষণা করা হয়েছে। মৃতদের নিকটাত্মীয়দের প্রত্যেককে ২ লক্ষ টাকা করে এবং আহতদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আহতদের চিকিৎসার জন্য রাজকোটে একটি পৃথক ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে। 
মোরবিতে সেতু দুর্ঘটনা সম্পর্কে পৌরসভার প্রধান কর্মকর্তা সন্দীপ সিং জালা বলেন, সেতুটি প্রস্তুত ছিল এবং পৌরসভার যাচাই-বাছাই ছাড়াই সেতুটি চালু করা হয়েছিল, তাই দায়ী সকলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারা বলেন, বেসরকারি সংস্থাটি সেতুটি সংস্কার করার পর যাচাই-বাছাইয়ের সার্টিফিকেট, বহন ক্ষমতা সংক্রান্ত যাবতীয় রেকর্ড বাজেয়াপ্ত করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেতুর কাজে গাফিলতি বেরিয়ে এলে দায়ী সকলের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্য আধিকারিক। এদিকে এই দুর্ঘটনার ব্যাপারে রাষ্ট্রপতি গভীর শোপ্রকাশ করেছেন।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad