জানা গেছে, সংস্কারের পর সেতুটি সম্প্রতি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল।আধিকারিকদের মতে, এর উপর দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের ওজন সহ্য করতে না পেরে এটি ভেঙে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঝুলন্ত সেতুটি ভেঙে পড়ার সময় সেখানে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু ছিল।
ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) তিনটি দল গুজরাটের গান্ধীনগর, ভদোদরা থেকে সেতু ধসে পড়ার জায়গায় পৌঁছেছে এবং অন্য একটি দলকে এয়ারলিফট করার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন এনডিআরএফের ডিজি অতুল কারওয়াল।
উল্লেখ্য, আজ গুজরাটের মোরবি এলাকার মাচচু নদীতে একটি তারের সেতু ধসে পড়ে, ফলে কমপক্ষে ৬০ জন নিহত হয়েছে। ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।
গুজরাটের পুলিশ মহানির্দেশক আশিস ভাটিয়া বলেন, "বর্তমানে উদ্ধার কাজ চলছে এবং বেশ কয়েকজনকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ৪০ এবং এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) একের পর এক টুইট বার্তায় বলেছে, 'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মোরবিতে দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেকের নিকটাত্মীয়দের জন্য পিএমএনআরএফ (প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল) থেকে ২ লাখ টাকা করে অনুদান ঘোষণা করেছেন। আহতদের ৫০,০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী এই ঘটনা সম্পর্কে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেছেন এবং উদ্ধার কাজের জন্য জরুরি ভিত্তিতে দল গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন।
এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ) শীঘ্রই সাসপেনশন ব্রিজ ভেঙে পড়ার জায়গায় পৌঁছে যাবে। তিনি বলেন, মোরবির দুর্ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। আমি এই বিষয়ে গুজরাটের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সঙ্ঘভি এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি," বলেন শাহ। তিনি আরও বলেন, প্রশাসন দ্রুত উদ্ধার ও ত্রাণ কাজ করেছে।
গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল বলেছেন, মোরবিতে সাসপেনশন ব্রিজ ভেঙে পড়ার মর্মান্তিক ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ চলছে। আহতদের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই ব্যবস্থায়। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আমি সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি।