দৃষ্টান্ত রেখেছে লেকটাউন থানা। সচেতনতার বার্তা নিয়ে গতকাল লেকটাউন থানার পক্ষ থেকে একটি মিছিলের আয়োজন করা হয়। মিছিল উপস্থিত ছিলেন লেকটাউন থানার আইসি এবং ডিসি। এই বিষয়ে ডিসি বিশ্বজিৎ মাহাতো জানান, পুলিশ কড়াকড়িভাবে চেকিং করছে।
মানস পাল, হুগলি ও রজত রায়, কলকাতাঃ শব্দবাজি ফাটানো আইনতঃ দন্ডনীয়। কলকাতা হাইকোর্টের আদেশে বিক্রি করতে হবে পরিবেশ-বান্ধব আতসবাজি। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, একের আনন্দ যাতে অন্যের কষ্টের কারণ না হয়। আদালতের নির্দেশ কার্যকর করা হল কি না, হাইকোর্টকে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট দিতে হবে কলকাতার ক্ষেত্রে পুলিশ কমিশনারের তরফে।
রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি ন্যাশানাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস সেফটি অরগানাইজেশন-কেও রাজ্যের বাজি বাজারে নজরদারি চালাতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
অন্যদিকে, তৃণমূল পরিচালিত পুরসভাগুলি এ ব্যাপারে এলাকায় মাইকিং করে জনগণকে সচেতন করবে বলে, তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে। অন্যদিকে, রাজ্য পুলিশ এখনো সেভাবে কাজ শুরু না করেলেও, শীঘ্রই তারা এ ব্যাপারে হাইকোর্টের নির্দেশ মতো কাজ শুরু করবে বলে জানা গেছে।
আদালতের নির্দেশ মতো কঠোর ব্যবস্থা নিতে চলেছে রাজ্য পুলিশ-সহ কলকাতা ও বিধান নগর কমিশনারেটের পুলিশ আধিকারিকরা। পুলিশ সূত্রে খবর, শব্দবাজি ফাটালে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু হুগলি জেলার একধিক থানা এলাকায় দেদার বিক্রি হয়েছে নিষিদ্ধ শব্দবাজি, পুলিশের জ্ঞাতসারেই ফাটছে ভয়ঙ্কর শব্দবাজি, এমন ভুরি ভুরি অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে হরিপাল, ধনিয়াখালি, জাঙ্গীপাড়া, রিষড়া, শ্রীরামপুর, ভদ্রেশ্বর থানা এলাকা থেকে।
তারকেশ্বর থানা এলাকার শহর তারকেশ্বরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কলেজ ময়দান এলাকা থেকে ভয়ঙ্কর শব্দ বাজি ফাটানোর অভিযোগ এসেছে, কিন্তু বাসিন্দাদের অভিযোগ তারকেশ্বর থানা এই শব্দবাজি রুখতে কোন ব্যবস্থা নেয় নি। এলাকাবাসীরা আতঙ্কিত কালী পুজোর সময় কী হয়, এই ভেবে। কারণ, এখনো এলাকায় দেদার নিষিদ্ধ বাজি বিক্রির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
অন্যদিকে, এ ব্যাপারে দৃষ্টান্ত রেখেছে লেকটাউন থানা। সচেতনতার বার্তা নিয়ে গতকাল লেকটাউন থানার পক্ষ থেকে একটি মিছিলের আয়োজন করা হয়। এই মিছিলে সচেতনতার স্লোগান তুলে সামিল হয় স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা। এই মিছিল থেকে মাইকিং এর মাধ্যমে শব্দবাজি না ফাটানোর অনুরোধ করা হয়।
তার পাশাপাশি শব্দবাজি ফাটালে আইনত কঠোর ব্যবস্থা নেবে পুলিশ প্রশাসন সেই বার্তাও সাধারণের উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়। এদিনের মিছিল উপস্থিত ছিলেন লেকটাউন থানার আইসি এবং ডিসি। এই বিষয়ে ডিসি বিশ্বজিৎ মাহাতো জানান, পুলিশ কড়াকড়িভাবে চেকিং করছে। এখনো পর্যন্ত কিছু সংখ্যক শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে, তারকেশ্বর, হরিপাল, শ্রীরামপুর, রিষড়া থানা এলাকার বাসিন্দারা চাইছেন, স্থানীয় থানা মাইকিং করে সচেতন করুন, পাশাপাশি বিসর্জনের ঘাটগুলিতে সিভিক ভলেন্টিয়ার বা পুলিশকে রাখা হোক।