এই নিয়ে এই কলোনীতে গত ১ বছরে ৬ বার চিতার আক্রমণের ঘটনা ঘটল। গত এক মাসে এটাকে নিয়ে তৃতীয় ঘটনা ঘটল ওই এলাকায়। একবার এক দম্পতি এদের এই চিতার আক্রমণ থেকে বেঁচে যায়। সঞ্জয় গান্ধী জাতীয় উদ্যানের কাছে অবস্থিত, এই আরে মুম্বাইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ বনাঞ্চল হিসাবে পরিচিত। এর আগেও এই এলাকায় চিতাবাঘের হামলার বহু ঘটনা ঘটেছে।
আরে থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানান, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মেয়েটি ও তার মা যখন মন্দিরে যাচ্ছিলেন, তখন এ ঘটনা ঘটে। মন্দির তাঁর বাড়ি থেকে প্রায় ৩০ ফুট দূরে। চিতাবাঘটি মেয়েটিকে আক্রমণ করে তাকে গুরুতরভাবে আহত করেছিল। আন্ধেরি পূর্বের সেভেন হিলস হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় শিশুটির মৃত্যু হয়।
ওই পুলিশ আধিকারিক বলেন, 'প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে আমরা এ ঘটনায় অ্যাক্সিডেন্টাল ডেথ রিপোর্ট (এডিআর) দাখিল করেছি। আরও তদন্ত চলছে। এদিকে, ওই এলাকায় মানুষ ও বন্যপ্রাণীদের মধ্যে সংঘাত ঠেকাতে বন বিভাগ একটি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, বন বিভাগ রেসকিঙ্ক অ্যাসোসিয়েশন ফর ওয়াইল্ডলাইফ ওয়েলফেয়ার (RAWW) এর একটি দলের কাছ থেকে সাহায্যের আহ্বান জানিয়েছে।
ওই আধিকারিক জানান, কর্তৃপক্ষ একটি ওয়াইল্ডলাইফ অ্যাম্বুলেন্স, একটি ওয়াইল্ডলাইফ ক্রাইসিস রেসপন্স টিম এবং মুম্বাই বন বিভাগের স্বেচ্ছাসেবকদের মোতায়েন করেছে। তিনি বলেন, উদ্ধারকারী, চিতাবাঘ বিশেষজ্ঞ, পশুচিকিত্সক এবং বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সারা সপ্তাহ ধরে আরে কলোনির বনাঞ্চলে থেকে নজরদারি চালাবেন। জানা গিয়েছে, এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে এই নিয়ে তৃতীয় ঘটনা ঘটল ওই এলাকায়।
তিনি জানান, রাতে টহল দেওয়া হবে এবং চিতাটিকে শনাক্ত করা ও তার গতিবিধির উপর নজর রাখার জন্য 'ক্যামেরা ট্র্যাপ' বসানো হবে।