বিসিসিআই এর সভাপতির পদ থেকে সরছেন সৌরভ, কারণ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বিসিসিআই এর সভাপতির পদ থেকে সরছেন সৌরভ। আর সেই খবর প্রকাশিত হওয়া মাত্র জল্পনা তুঙ্গে। রাজ্যের তৃণমূলের দাবি, করছে, বিজেপির শর্ত না মানাতেই বোর্ড সভাপতির পদ হারাতে হচ্ছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। কারণ যাই হোক মহারাজ বিসিসিআই সভাপতির নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। 


উল্লেখ্য, আগামী ১৮ অক্টোবর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভা। পিটিআই জানাচ্ছে, মহারাজ আর সভাপতি থাকছেন না বিসিসিআই এর। তার জায়গায় আসছেন ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জয়ী টিমের অলরাউন্ডার রজার বিনি। সৌরাভ গাঙ্গুলিকে নিয়ে বেশ কয়েকবার রাজনৈতিক জলঘোলা হয়েছে। মে মাসে কেন্দ্রিয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহের সঙ্গে তার নৈশভোজ নিয়ে বেশ আলোড়ন ওঠে। তখন বিরোধী পক্ষ ভেবে নিয়েছিল, সৌরভ নিশ্চয় বিজেপিতে যাচ্ছেন। আবার তাকে দেখা গিয়েছিল নবান্নতে। তা নিয়ে বিজেপি র অন্দরেও কথা উঠেছিল। 
সম্প্রতি দুর্গাপুজোর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্তিতে রেড রোডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঠিক পাশেই দেখা গিয়েছিল সৌরভকে। সেখানে পরস্পরের প্রশংসাও করেন তাঁরা। স্বভাবতইঃ মহারাজ আবার রাজনীতির জল্পনার রশদ। 
তৃণমূল কংগ্রেসর মুখপাত্র ও সাংসদ শান্তনু সেনএক টুইট বার্তায় বলেন, 'রাজনৈতিক প্রতিহিংসার আরও এক উদাহরণ। অমিত শাহ-র ছেলে বোর্ডে সচিব পদে থেকে যাচ্ছে কিন্তু সৌরভ থাকবেন না। এর কারণ কি সৌরভ মমতার রাজ্যের বাসিন্দা? সৌরভের বিজেপিতে যোগ না দেওয়াই কি কারণ?'


 এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে দলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ দাবি করেছেন, বিজেপির কথা মতো কাজ না করাতেই সিংহাসচ্যুত হতে হচ্ছে মহারাজকে।
 সিপিএম-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘তৃণমূল এবং বিজেপি-র নেতা-নেত্রীরা চান সকলে তাঁদের বশবর্তী হয়ে থাকবেন। সৌরভরা খেলার মাঠে দায়িত্বে থাকবেন, ক্রীড়া প্রশাসনের দায়িত্ব নেবেন, সেটাই হওয়া উচিত। ফুটবলের ক্ষেত্রে কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই মনোভাবই জানিয়েছে কোর্ট। খেলায়াড়রা পদ পাবেন না, শুধু রাজনীতিকদের মাতব্বরি চলবে, এটা হতে পারে না। দেখা যাক। হয়ত রাজনীতির খেলাতেই সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তেমনই আন্দাজ মিলছে।’’


সৌরভের বিসিসিআই-তে পদ না পাওয়াকে ঘিরে অহেতুক বিতর্ক হচ্ছে বলে দাবি রাজ্য বিজেপি-র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের। তিনি বলেন, ‘‘কাউকে কোনও পদ পাইয়ে দিয়ে দলে শামিল করার রাজনীতি কখনও বিজেপি করেনি। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো তারকা এত জনপ্রিয়তা, গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে তাঁর। দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ওঁর কৃতিত্ব প্রশ্নাতীত। তাঁকে এই বিতর্কে টেনে আনায় আমার মনে হয় সমগ্র বাংলা এবং ক্রিকেট সমাজকে অপমান করা হচ্ছে। 
ছবি সৌজন্যঃ আজতক বাংলা

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad