পাঁশকুড়ায় বাজি বিষ্ফোরণে নিহত ২, আহত অনেক


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দুর্গাপুজো ও লক্ষীপুজোতে দেদার নিষিদ্ধ বাজি ফাটানোর অভিযোগ উঠেছে রাজ্য জুড়ে, কিন্তু প্রশাসন সক্রিয় না হওয়ায় বন্ধ হয়নি নিষিদ্ধ বাজির রমরমা। বৃদ্ধ মানুষদের জীবনকে ওষ্ঠাগত করে চলছে বাড়িতে বানানো গাছ বমের দৌরাত্ম। এরকমই অভিযোগ ভূক্তভোগীদের। এ ব্যাপারে, তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। ঠিক, এরকম অবস্থায়, আজ হাইকোর্ট বাজি ও দূষণ নিয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছে। এমনকি, আদালতের নির্দেশ ঠিকমতো মানা হচ্ছে কি না সে ব্যাপারে দেখভাল করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টকে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট দিতে হবে পুলিশ কমিশনারের তরফে। রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি ন্যাশানাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস সেফটি অরগানাইজেশন-কেও রাজ্যের বাজি বাজারে নজরদারি চালাতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। 


এই রকম এক পরিস্থিতে বাজি বিষ্ফোরণে প্রাণ গেল ২ জনের। ঘটনা পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার। জানা গেছে, কালীপুজোর জন্য বাজি বানানো হচ্ছিল। সেখানে আচমকাই বিষ্ফোরণ ঘটে। মৃত্যু হয় ২ জনের। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেছে। জানা গেছে, এখন পর্যন্ত আহত হয়েছেন ৫ জন। এদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশংকাজনক। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পাঁশকুড়ার পূর্ব চিল্কায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। জানা গেছে, বিষ্ফোরণের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে বহু দূর থেকে তার শব্দ শোনা যায়। বিষ্ফোরণের পর ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকে মৃতদেহ। ঘটনায় এক নাবালকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। নিহতের নাম শম্ভু সামন্ত (১৭)। শম্ভু নবম শ্রেণির ছাত্র। এমনকি বেশ কয়েকজন মহিলাও ঘটনায় আহত বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ। তবে ঘটনার পর থেকেই বাড়ির মালিক শ্রীকান্ত ভোক্তা পলাতক বলে জানা যাচ্ছে। 
গ্রামের মানুষের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ওই বাড়িতে নিষিদ্ধ বাজি বানানো হত। অভিযোগ করলে বলা হত, তার বাজি বানানোর লাইসেন্স আছে। এদিকে, এই ঘটনায় এ এন আই তদন্তের দাবি তুলেছে বিজেপি। কারণ, বাজির নামে বোমা বানালেও ধরা যাবে না। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে গেছেন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা। দেখা হচ্ছে, ঠিক কী ধরণের বাজি বানানো হচ্ছিল। অন্যদিকে, সাধারণ মানুষের অভিযোগ, কালীপুজোর আগে, বাড়িতেও ব্যক্তিগত উদ্যোগে বানানো হয় নিষিদ্ধ শব্দবাজি। এ ব্যাপারে তারা পুলিশ ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad