অখিল গিরির আদিবাসী রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে কুকথার জবাব তিনি বেলপাহাড়ীতে আসার আগেই দিয়েছিলেন। আর এভাবেই আদিবাসীদের মন থেকে ওই কু-কথাকে সরানোর চেষ্টা করেছিলেন। আর বেলপাহাড়ীতে এসে আদিবাসীদের জন্য রাজ্য সরকার কী কী কাজ করেছে বা করছে তার একগুচ্ছ হিসাব তুলে ধরলেন। আসলে সামনেই পঞ্চায়েত ভোট।
অখিল গিরির মন্তব্য তৃণমূল দলকে অনেকটাই ব্যাকফুটে ফেলে দিয়েছিল। তাই, তৃণমূলনেত্রীর প্রথম কাজটাই ছিল আদিবাসীদের ‘পালস’ বুঝে সেই ড্যামেজ কন্ট্রোল করা। সেটা তিনি তার সহজাত রাজনৈতিক বুদ্ধি দিয়েই করলেন।
মমতা বললেন, “ আমি অলচিকি বলতে পারিনা, কিন্তু অলচিকিকে ভালোবাসি।“ আর একটি কথা দিয়েই তিনি তাদের মন জয়ের চেষ্টা করলেন। তিনি বললেন, “ আমাদের সরকার বিরসা মুন্ডার জন্মদিনকে ছুটির দিন হিসাবে ঘোষণা করেছে।“
গত ৩ দিন ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়াগায় অখিল গিরির কু-কথা নিয়ে যে ক্ষোভ-বিক্ষোভ, তাতে জল ঢালাই ছিল তৃণমূলের লক্ষ্য, যাতে জঙ্গলমহলের রাজনীতিতে বিজেপি সফল না হয়। আজ তাই সেভাবেই তিনি আদিবাসীদের সামনে তুলে ধরলেন, রাজ্যের তৃণমূল কীভাবে আদিবাসীদের জীবন, জমির আর জঙ্গলের অধিকার পেতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এদিন তিনি ভগবান বিরসা মুন্ডার ৬ টি মূর্তি উন্মোচন করেন।
একইসঙ্গে, তিনি তাদের সামনে, নতুন প্রজন্মের কাছে দিয়ে গেলেন একরাশ স্বপ্ন। অখিল গিরি সম্পর্কে কোন কথা না বলে তিনি শুধু বলে গেলেন তৃণমূল আদিবাসীদের পাশে ছিল ও থাকবে।