প্রশিক্ষণ দেওয়ার সময় মাঝ আকাশে প্যারাশ্যুট না খোলায় পাহাড়ের খাদে আছড়ে পড়ে মৃত্যু সেনা অফিসারের


ভয়েস ৯, সিকিম ও শিলিগুড়িঃ
উত্তর সিকিমে ভারত-চীন সীমান্তের কাছে সেনাবাহিনীর অপারেশনাল কন্ট্রোলের অধীনে থাকা স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্স (এসএফএফ) এর একজন সহকারী অফিসার লাগিয়াল (৪০)এর মৃত্যু হল প্যারা-জাম্পের সময়। তিনি একটি এমআই ১৭ভি৫ হেলিকপ্টার থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। 
দুর্ভাগ্যবশত, লাগিয়ালের প্যারাশুটের বাম ক্লিপটি মাঝ আকাশে খারাপ হয়ে যায় এবং তিনি কয়েক হাজার ফুট নিচে একটি পাহাড়ি খাদে পড়ে যান। তাঁর প্রাণহীন দেহ উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এরপর লহগিয়ালের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে বলেও জানান এক আধিকারিক। প্যারাসুটটি কেন ত্রুটিপূর্ণ ছিল এবং কেন লাগিয়াল তি দ্রুত সক্রিয় করতে অক্ষম ছিলেন সে সম্পর্কেও একটি তদন্ত শুরু করা হয়েছে। 
জানা গেছে, লাগিয়াল (৪০) একজন অভিজ্ঞ প্যারাট্রুপার ছিলেন। তিনি ১০০ টিরও বেশ জাম্প দিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন দক্ষিণ সিকিমের একটি ছোট শহর রাভাংলার বাসিন্দা। ২০০০ সালের জুলাই মাসে এসএফএফ-এর ৬ এলিট ব্যাটালিয়নে তিনি নিযুক্ত হন। 'চট্টগ্রাম ফ্যান্টমস' নামে পরিচিত এই ফোর্সের ক্রিয়াকলাপ আগে ছিল একান্ত গোপনীয়। এটি ভারতের রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (RAW) এর অধীনে। এই বিভাগ সরাসরি পিএমওকে রিপোর্ট করে। 
পূর্ব লাদাখে ভারত ও চীনের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘর্ষের পরেই এই ইউনিটের খবর প্রকাশ্যে আসে। এসএফএফ-এর কর্মীরা ভারতীয় সেনাবাহিনীর সৈন্যদের পাহাড়ের চূড়ায় আরোহণে সহায়তা করেছিল। ২০২০ সালের আগস্টে এমন একটি অভিযানের সময় এসএফএফ-এর সুবেদার নাইমা তেনজিন দুর্ঘটনাক্রমে প্যাংগং লেকের দক্ষিণে একটি পুরানো ল্যান্ডমাইনে পা রাখার পরে নিহত হন। তার মৃত্যু ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার খবরটি সেনাবাহিনী দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছিল এই ইউনিটকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য। চীন তাদের দেশ দখলের পরে ভারতে পালিয়ে আসা তিব্বতি শরণার্থীদের নিয়ে গঠিত হয়েছিল উইংটি।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad