জানা গেছে,তার কাছ থেকে এটিএম কার্ডসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ বাজেয়াপ্ত করেছে ওড়িশা পুলিশ। প্রশান্ত একটি জাল ইমেল আইডি ব্যবহার করে বিশাল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছ বলে অভিযোগ।
আজ তাকে আলিপুরের সিএমজে-র আদালতে হাজির করা হয়েছে এবং ট্রানজিট রিমান্ডে কটকে আনা হচ্ছে বলে আধিকারিকরা জানিয়েছেন। অভিযোগ, প্রশান্ত, ফরেস্ট পার্কের বাসিন্দা রামবল্লভ রথ (৬৩) নামে এক ব্যক্তিকে ৭৪ লক্ষ টাকা প্রতারণা করেছে।
জানা গেছে, যখন রামবল্লভ রথ বুঝতে পারেন যে তাকে প্রতারিত করা হচ্ছে তখন তিনি পুলিশংসঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। এ ঘটনায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের মে মাস থেকে প্রশান্ত নিজেকে কোটাক মাহিন্দ্রা, ম্যাক্সসিউরো, ইনভেস্টমেন্ট সলিউশনস এনপিসিআই, এফএনএফ সলিউশনস, এফএফডি সার্ভিসেস এবং ক্যাপিটাল সার্ভিসেসের কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মোবাইল নম্বর থেকে ঘন ঘন কল করতেন। তার ফাঁদে পা দেন রামবল্লভ রথ। তাকে বীমার প্রসেসিং অ্যামাউন্ট ইত্যাদি জমা দেওয়ার জন্য প্রলুব্ধ করা হয়েছিল এবং সেই মতো তিনি প্রশান্তবাবুর দেওয়া অ্যাকাউন্টে কিস্তিতে ৭৪ লক্ষ টাকারও বেশি অর্থ জমা করেছিলেন।
প্রতারকরা বেশ কয়েকটি ফেক ইমেল আইডি এবং জাল অফিসিয়াল চিঠি ব্যবহার করে এই অর্থ পাচার করতে সক্ষম হয়েছিল। তদন্তে নেমে গত মাসে উত্তরপ্রদেশের লখনউ থেকে ধর্মেন্দ্র কুমার নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে ওই পুলিশ।
জানা গেছে, তিনি আইআরডিএআই (ইনস্যুরেন্স রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া)এর একটি জাল ডোমেন তৈরি করেছিলেন এবং নিজের শংসাপত্রসহ একটি জাল ইমেল আইডি তৈরি করেছিলেন।