টেন্ডার প্রক্রিয়া টি অনুষ্ঠিত হয়নি এবং সরাসরি চুক্তি বরাদ্দ করা হয়েছিল। গ্রেফতার হওয়া ৯ জনের মধ্যে বুধবার গুজরাটের মোরবি আদালত চারজনকে পুলিশ হেফাজতে এবং বাকি পাঁচজনকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে।
ভয়েস ৯, নিউজ ডেস্কঃ গুজরাটে মোরবি সেতু দুর্ঘটনা মামলায় একটি বড় মোড। এই মামলার অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর জানান যে ওরেভা কোম্পানির অভিযুক্ত একজন ত ম্যানেজার এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে আদালতে বলেছন, এটা 'ঈশ্বরের কাজ'।
ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির (এফএসএল) প্রতিবেদনে, তদন্তকারী আধিকারিক(আইও) বলেছেন যে কেবলে মরিচা পড়ে গিয়েছিল। তদন্তকারী আধিকারিক বলেছেন যে কেবলমাত্র সেতুর মেঝে তৈরি করা হয়েছিল, কেবলগুলি পরিবর্তন করা হয়নি, তেল-গ্রীসিংও করা হয়নি। অ্যাডভোকেট এইচএস পাঞ্চাল আজ আদালতে বলেন।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে এফএসএল আধিকারিক বলছেন যে পুরানো কেবল দিয়েই সেতুটি ঝুলছিল।
পুলিশ হেফাজতে পাঠানো অভিযুক্তদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে পাঞ্চাল বলেন, "যে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে, তাদের মধ্যে দু'জন ওরেভা কো-এর ম্যানেজার এবং আরও দু'জন সেতুর জন্য ফ্যাব্রিকেশনের কাজ করেছেন। অন্য যে পাঁচজনকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে তারা হলেন নিরাপত্তা কর্মী এবং টিকিট বিক্রেতা।
এডভোকেট পাঞ্চাল আরও বলেন, "প্রতিবেদনে, তদন্তকারী আধিকারিক(আইও) বলেছেন যে টেন্ডার প্রক্রিয়া টি অনুষ্ঠিত হয়নি এবং সরাসরি চুক্তি বরাদ্দ করা হয়েছিল। ৩০ অক্টোবর শতাব্দী প্রাচীন সাসপেনশন ব্রিজ ভেঙে ১৩৫ জনের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া ৯ জনের মধ্যে বুধবার গুজরাটের মোরবি আদালত চারজনকে পুলিশ হেফাজতে এবং বাকি পাঁচজনকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে।
তদন্ত সম্পর্কে বলতে গিয়ে, এসপি মোরবি রাহুল ত্রিপাঠী বলেন, "আমরা হেফাজতে থাকা চার অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি এবং আমরা সেতু সংস্কারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের ত্রুটির দায় কার, সেটা খোঁজার চেষ্টা করছি। যদি কারও ভূমিকা সামনে আসে তবে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে এবং তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।"