কীভাবে এই সংঘর্ষ শুরু হয়, সে ব্যাপারে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মুকেশ সিং জানান,"প্রথমে আমরা একটি ট্রাকের অস্বাভাবিক গতিবিধি লক্ষ্য করেছিলাম। সন্দেহ হওয়ায় আমরা ওই ট্রাকটিকে তাড়া করে জম্মুর সিধরায় থামাই। কিনতি নিরাপত্তা বাহিনীকে দেখে ট্রাকটির চালক পালিয়ে যায়। এরপর, ট্রাকটিতে তল্লাশি চালানো হলে ভেতরে লুকিয়ে থাকা সন্ত্রাসবাদীরা নিরাপত্তা কর্মীদের ওপর গুলি চালাতে শুরু করে। নিরাপত্তা রক্ষীরাও পালটা গুলি চালাতে শুরু করলে ঘটনাস্থলেই ৩ জন সন্ত্রাসবাদী মারা যায়।
জানা গেছে, পাঁচ থেকে ছয়টি গ্রেনেড বিস্ফোরণের শব্দে জেগে ওঠেন এলাকার বাসিন্দারা। তারাই প্রথমে এই এনকাউন্টারের খবর পান। জানা গেছে,সোমবার পুলিশ জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুর জেলায় উদ্ধার হওয়া ১৫ কিলোগ্রাম ওজনের একটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) নিষ্ক্রিয় করে। এরপরে এই এনকাউন্টারটি ঘট।
মনে করা হচ্ছে, বড়ো কিছু ঘটানোর জন্য ওই সন্ত্রাসবাদীরা ট্রাকে লুকিয়ে আসছিল। এদিকে, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার (এলইটি) একটি কোডেড শিট এবং একটি লেটার প্যাড পেজও উদ্ধার করা হয়েছে বলে আধিকারিকরা জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে এক সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে। আধিকারিকরা আরও জানান, বসন্তগড় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আরও তদন্ত চলছে।
ছবিঃ এ এন আই