যারা ইতিমধ্যে সতর্কতা বা বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেছেন তাদের ন্যাসাল ভ্যাকসিন, আইএনসিওএসিসি, দেওয়া যাবে না।
কেন্দ্রের কোভিড প্যানেল প্রধান
ভয়েস ৯, নতুন দিল্লি ব্যুরোঃ "বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে চীনে নতুন করে ছড়িয়ে পড়া করোনা প্রাদুর্ভাবের বিষয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। চীন থেকে সঠিক তথ্য পাওয়ার অভাবে ভারত কেবল "সতর্কতামূলক এবং পূর্বনির্ধারিত" প্রস্তুতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তবে এটা স্পষ্ট যে, চীনের প্রাদুর্ভাবের কারণ হচ্ছে ভাইরাসের একটি ককটেল। আর এটা স্থানীয় এপিডেমিওলজির কারণে ভিন্ন আচরণ করছে।
কেন্দ্রের কোভিড প্যানেলের প্রধান এনকে অরোরা আজ এনডিটিভিকে এই কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, "বিএফ.৭ এর ক্ষেত্রে মাত্র ১৫ শতাংশ সংক্রমণের ঘটনা রয়েছে। এর মধ্যে ৫০ শতাংশই বিএন ও বিকিউ সিরিজের এবং এসভিভি ভেরিয়েন্ট ১০-১৫ শতাংশ। আর সেখানেই ভারত 'হাইব্রিড ইমিউনিটি'র কারণে লাভবান হয়েছে। কোভিডের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় তরঙ্গ থেকে ভ্যাকসিনের মাধ্যমে এবং ব্যাপক সংক্রমণের মাধ্যমে অর্জিত অনাক্রম্যতার ফলে এই দেশে এই মুহুর্তে আতঙ্কের কোনো কারণ নেই।"
অরোরা আরও জানান, "চীনে এই ভাইরাস নতুন। তারা এর আগে এই ভাইরাসের সংস্পর্শে আসেননি এবং তারা যে টিকা পেয়েছেন তা সম্ভবত কম কার্যকর। আমি অবশ্যই আপনা্দের বলতে চাই যে তাদের বেশিরভাগই তিন থেকে চারটি ডোজ পেয়েছে। তুলনায়, ৯৭ শতাংশ ভারতীয় ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ পেয়েছে। বহু ভারতীয় একাধিকবার এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল। এমনকি শিশুরাও এখানে নিরাপদ, কারণ ১২ বছরের কম বয়সী অন্তত ৯৬ শতাংশ শিশুই কোভিডের সংস্পর্শে এসেছে।"
তিনি আরও বলেন, "টিকা নেওয়ার সময়ও যে ক্যালিব্রেট করা হয়েছিল, তাতে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে আমরা কোভিড দৃষ্টিকোণ থেকে একটি অত্যন্ত নিরাপদ সমাজ। দেশে এখন যে প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে তা একটি "প্রিমেটিভ এবং প্রো-অ্যাক্টিভ প্রতিক্রিয়া, প্রাথমিকভাবে কারণ চীনের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশাল অস্বচ্ছতা রয়েছে। আক্রান্তের ক্ষেত্রে অস্বচ্ছতা, আক্রমণের তীব্রতা, তাদের টিকা দেওয়ার অবস্থা এবং তারপরে সেখানে যে ধরণের রূপগুলি ছড়িয়ে পড়ে তা নিয়ে।"