তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) এবং বেলুচিস্তান ও পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে মিত্র গোষ্ঠীগুলির আক্রমণ প্রায় প্রতিদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এটা শুরু হয়েছে গত বছরের আগস্টে আফগান তালেবানরা কাবুল এবং আফগানিস্তানের বেশিরভাগ অংশ পুনরায় দখল করার পর থেকে।
গত সপ্তাহে আফগানিস্তানে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের সরকারি বাসভবনে হামলা চালানো হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেলুচিস্তান এবং পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে চীনা আধিকারিকদের উপর হামলা একটি নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এই প্রথম আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে চীনা আধিকারিক ও নাগরিকদের টার্গেট করা হয়েছে।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, আজ আফগানিস্তানের রাজধানীতে চীনা ব্যবসায়ীদের জনপ্রিয় একটি গেস্ট হাউসের কাছে বেশ কয়েকটি বিকট বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শোনা গেছে।
তিনি সংবাদসংস্থা এএফপিকে বলেন, এটা বেশ জোরালো বিস্ফোরণ ছিল এবং তারপরে প্রচুর গোলাগুলির শব্দ শোনা গিয়েছিল। স্থানীয় মিডিয়াও একই রকম বিবরণ প্রকাশ করেছে। কাবুলের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা শাহর-ই-নাওতে ঘটে যাওয়া এই বিস্ফোরণের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করার জন্য নিরাপত্তা আধিকারিকদের পাওয়া যায়নি।
তবে পরে কাবুল সিকিউরিটি কমান্ডের মুখপাত্র খালেদ জাদরান সংবাদমাধ্যমকে জানান, নিরাপত্তা বাহিনী ধোটেলটিতে পৌঁছেছে এবং হামলাকারীদের খতম অভিযান শুরু করেছে।
জানা গেছে, হোটেলটি চীনা ব্যবসায়ীদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। সম্প্রতি, তালেবানের ফিরে আসার পর থেকে চীনা ব্যবসাদাররা ব্যবসায়িক চুক্তির সন্ধানে আফগানিস্তানে ভিড় করেছে। উল্লেখ্য, আফগানিস্তানের সঙ্গে ৭৬ কিলোমিটার (৪৭ মাইল) সীমান্ত ভাগাভাগি করে নেওয়া চীন আনুষ্ঠানিকভাবে তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে সেখানে পূর্ণ কূটনৈতিক উপস্থিতি বজায় রেখেছে। তালেবান প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে আফগানিস্তানকে জঙ্গিদের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হবে না এবং এর বিনিময়ে চীন আফগানিস্তানের পুনর্গঠনে অর্থনৈতিক সহায়তা ও বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে। আফগানিস্তানে কয়েক দশক ধরে চলা যুদ্ধের পর স্থিতিশীলতা বজায় রাখাই বেইজিংয়ের প্রধান বিবেচনার বিষয়।