মেঘালয়ে মমতা, পাহাড়ে উত্তাপ, আজ একাধিক কর্মসূচি

রায়া গুপ্তা, শিলং, ভয়েস ৯ 

 মেঘালয়ে মমতা। উত্তর-পূর্বের এই শৈলশহরে এখন উত্তাপ। নির্বাচনী   উত্তাপ। বছর শেষ হলেই এই উত্তাপ আরো বাড়বে। তবে, এতে বরফ না গললেও, মানুষের তথা ভোটারদের মন গললেই খুশী রাজনৈতিক দলগুলি। বিধান্সভা ভোটের আগে তাই মেঘালয়ে এবার পা রাখলেন পশ্চিমঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রীমো মমতা ব্যানার্জী, সঙ্গী দলের সেনাপতি অভিষেক ব্যানার্জী। 
তিনি শপথ নিয়েই এসেছেন, এবার এই শৈলশহরে বারে বারে আসার পথ সুগম করার। উল্লেখ্য, অভিষেক গত মাসে মেঘালয়ে গিয়ে তুরায় একটি বিশাল সমাবেশে ভাষণ দিয়েছিলেন। জানা গেছে, বিধানসভা নির্বাচনের মাত্র দুই মাস আগে এই সফরের উদ্দেশ্য হল রাজনৈতিক দলগুলি এবং রাজ্যের ভোটারদের কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা দেওয়া যে টিএমসি মানে মেঘালয়ে নতুন দিনের সূচনা। গতকাল দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল সুপ্রীমো উমরোইয়ের শিলং বিমানবন্দরে পৌঁছান। 
বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন দলের মেঘালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মানসরঞ্জন ভুঁইয়া, রাজ্য সভাপতি চার্লস পিংরোপ, বিরোধী দলনেতা মুকুল সাংমা, দলের বিধায়ক, নেতা-কর্মীরা। পরে তার অন্তত ৫০টি গাড়ির বহর হোটেল পাইনউডে যায়, যেখানে দলের নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়। তৃজানা গেছে, আজ তিনি তৃণমূলস্তরের সৈনিকদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।
উল্লেখ্য, মেঘালয় বিধানসভার মোট আসনসংখ্যা ৬০টি। ১৯৭৬ সাল থেকে, কোনও রাজনৈতিক দল রাজ্য বিধানসভায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস জোট সরকার গঠন করে। 
মেঘালয় বিধানসভার সর্বশেষ নির্বাচন ২০১৮ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি। ফলাফল ৩ মার্চ ঘোষণা করা হয়েছিল। মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচন ২০১৮-তে, ১৪ টি রাজনৈতিক দল এবং স্বতন্ত্ররা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। এর মধ্যে চারটি জাতীয় রাজনৈতিক দল, পাঁচটি রাষ্ট্রীয় রাজনৈতিক দল এবং পাঁচটি নিবন্ধিত অস্বীকৃত দল রয়েছে। সেই তুলনায়, ২০১৩ সালের মেঘালয় রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের সময়, ১৪ টি রাজনৈতিক দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। এ
র মধ্যে চারটি জাতীয় রাজনৈতিক দল, পাঁচটি রাষ্ট্রীয় রাজনৈতিক দল এবং পাঁচটি নিবন্ধিত অস্বীকৃত দল রয়েছে। বিরোধী দলনেতা মুকুল সাংমা বলেছেন, কিছু কিছু আসনে প্রার্থী কম-বেশি চূড়ান্ত করা হয়েছে, তবে সময়মতো তা ঘোষণা করা হবে। তিনি বলেন, টিএমসি নির্বাচনে একাই লড়বে। এটা মানুষ খোঁজার বিষয় নয়, বরং সঠিক মানুষ খুঁজে বের করার বিষয়। কারণ তৃণমূলের একটা আদর্শ আছে। যে ব্যক্তিরা দলের অনুশাসন ও আদর্শ মেনে চলে, তাদের কথাই আমরা ভাববো।
টিএমসির রাজ্য সভাপতি চার্লস পিংরোপ বলেন, মঙ্গলবার মুক্রোহ গুলি চালনার ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এরপর বিকেলে দলীয় বৈঠক করবেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন অনাথ শিশু, খাসি ও জয়ন্তিয়া হিলসের ঐতিহ্যবাহী প্রধান, সুশীল সমাজের বিশিষ্ট সদস্য এবং শহরের বিশিষ্ট নাগরিকদের নিয়ে শহরে প্রাক-ক্রিসমাস উদযাপনে অংশ নেবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টিএমসির মুখ বলে দাবি করে এবং তার শিলং সফর দলকে রাজ্যে জমি পেতে সাহায্য করবে বলে মনে করেন পিংরোপ।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad