ইন্দোনেশিয়ায় বিয়ের আগে যৌনতা নিষিদ্ধ , পর্যটকরাও এই আইনে পড়ছেন, পার্লামেন্টে নতুন ফৌজদারি আইন পাস

ভয়েস ৯, ইন্টারন্যাশানাল  ডেস্কঃ  বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইন্দোনেশিয়ায় ইন্দোনেশীয় আইন প্রণেতারা মঙ্গলবার একটি নতুন ফৌজদারী আইন পাস করেছেন। এই আইন অনুসারেবিবাহের বাইরে যৌনতাকে অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। 
এর ফলে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে মানবাধিকার ও স্বাধীনতা প্রশ্নের   মুখে পড়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। এই নতুন আইন, বিদেশী নাগরিক এবং পর্যটকদের জন্যও প্রযোজ্য। বিয়ের আগে সহবাস এই আইনের ফলে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। 
২০১৯ সালে এই কোডের একটি পূর্ববর্তী খসড়া পাস হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু দেশব্যাপী বিক্ষোভের পর ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি জোকো উইদোদোকে এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে হয়। পরে তা স্থগিত করা হয়েছিল। সে সময় টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে উইদোদো বলেন, "বিভিন্ন দলের কাছ থেকে পাওয়া প্রতিক্রিয়া গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে যারা ফৌজদারি কোডের কিছু উল্লেখযোগ্য বিষয়বস্তু নিয়ে আপত্তি তুলেছেন,তাদের কাছ থেকে মতামত নিয়ে তিনি ভোট বিলম্বিত করার সিদ্ধান্ত নেন।" ঔপনিবেশিক-যুগের কোড সংশোধনের দায়িত্বে থাকা সংসদীয় কমিশনের নেতৃত্দানকার আইনপ্রণেতা বামবাং ওউরিয়ান্তো বলেছেন, "পুরানো কোডটি ডাচ ঐতিহ্যের অন্তর্গত... এখন আর প্রাসঙ্গিক নয়। সকলেই খসড়া পরিবর্তনগুলি আইনে অনুমোদন করতে সম্মত হয়েছে।"
 বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইন্দোনেশিয়ায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ধর্মীয় রক্ষণশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আধা-স্বায়ত্তশাসিত আচেহ প্রদেশ সহ দেশের কিছু অংশে কঠোর ইসলামী আইন ইতিমধ্যে প্রয়োগ করা হয়েছে, যেখানে অ্যালকোহল এবং জুয়া নিষিদ্ধ। সমকামিতা এবং ব্যভিচার সহ বিভিন্ন অপরাধের জন্য এই অঞ্চলে প্রকাশ্যে চাবুক মারার ঘটনাও ঘটেছে।
 হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ইন্দোনেশিয়ার গবেষক আন্দ্রেয়াস হারসোনো বলেছেন, "এই আইনগুলি "ইন্দোনেশিয়ায় ইতিমধ্যে ধর্মীয় স্বাধীনতা হ্রাসের জন্য একটি ধাক্কা। এর দ্বারা অবিশ্বাসীদের বিচার করা যেতে পারে এবং কারাগারে পাঠানো হতে পারে।" অনেকে মনে করছেন, এই নতুন নিয়মগুলি, যা দেশের বিদেশীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, এলজিবিটি সম্প্রদায় এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের কাছেও আশঙ্কাজনক।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad