নিজস্ব চিত্র
নারায়ণ পট্টনায়ক, পুরীঃ পুরীর শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের উপর দিয়ে ড্রোন উড়িয়ে ছবি তোলার ঘটনায় অভিযুক্ত কলকাতার এক ইউ টিউবারকে আইন অনুযায়ী শাস্তি পেতে হবে বলে জানিয়েছেন পুরীর এস পি কানওয়ার বিশাল সিং।
তিনি বলেন, “একজন ডিএসপি পদমর্যাদার কর্মকর্তা 'শ্রীমন্দিরের উপর দিয়ে ড্রোন উড়ন্ত' মামলার তদন্ত করছেন এবং অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিংহদ্বার পুলিশের সামনে হাজির হতে বলা হয়েছে। শহরের ডিএসপি-র রিপোর্টের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই অনিমেষ চৌধুরী নামে ওই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
এস পি কানওয়ার বিশাল সিং বলেন, "পুলিশের পক্ষ থেকে আসামিকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিংহদ্বার পুলিশের সামনে হাজির হতে বলা হয়েছে। আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।“
উল্লেখ্য, অনুমতি ছাড়াই শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের মন্দিরের উপর দিয়ে একটি হাই-ডেফিনিশন ক্যামেরাসহ ড্রোন ওড়ানোর জন্য এর আগে ক্ষমা চেয়েছিলেন কলকাতার এক ইউটিউবার অনিমেষ চক্রবর্তী। মন্দিরের প্রতি ড্রোন শটের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ দাবি করার অভিযোগে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি ব্যপকভাবে সমালোচিত হওয়ার পরে তিনি এই ক্ষমা চেয়েছিলেন।
তখন তিনি বলেছিলেন যে প্রায় ২-৩ মাস আগে পুরী পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে তিনি মন্দিরের এরিয়াল ছবি তোলার জন্য পুরী গিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, "সবকিছু তাড়াহুড়ো করে ঘটেছে এবং সময়ের অভাব এবং অবিরাম বৃষ্টির কারণে আমি পুলিশকে শুটিংয়ের জন্য জিজ্ঞাসা করতে ব্যর্থ হয়েছি। তিনি ফুটেজটি ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করার কথা অস্আবীকার করে বলেঞ্ছিলেন, "আমি জানতাম যে কোনও ব্যক্তি ফুটেজের জন্য এই বিশাল পরিমাণ অর্থ দেবে না।"
নিজস্ব চিত্র
অনিমেষ জানিয়েছিলেন, গত ১৯ নভেম্বর তিনি তার ইউটিউব চ্যানেলে ড্রোন শটগুলো আপলোড করেন। কারণ তিনি সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ও ব্লগে পুরী শ্রীমন্দিরে অনেক ভিডিও দেখতে পান। তিনি বলেন, "আমি মনে করি ইউটিউবে এ ধরনের সামগ্রী আপলোড করতে কোনো বাধা নেই। আমি ওই পোস্টে পুরী পুলিশকে কৃতিত্ব দিয়েছি, যাতে কোনও ব্লগার ওই এলাকায় এলোমেলোভাবে ড্রোন ওড়াতে না পারে।"
অনুমতি ছাড়াই মন্দিরের উপর ড্রোন ওড়ানোর জন্য তিনি পুরীর এসপির কাছে ক্ষমা চেয়ে বলেছিলেন, "আমি আমার ভুলের জন্য অত্যন্ত দুঃখিত। দয়া করে আমাকে ক্ষমা করুন প্রভু জগন্নাথ।" বিষয়টি সামনে আসার পর শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসন (এসজেটিএ) ঘটনার তদন্ত শুরু করে। উল্লেখ্য, শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসন (এসজেটিএ) গত মাসে সিঙ্ঘদ্বার পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করে যখন মন্দিরের গর্ভগৃহের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।
নিজস্ব চিত্র
পরে, বাংলাদেশের এক যুবককে ছবিটি তোলার জন্য এবং তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছিল