'ভুয়া আধার কার্ড, বাংলাদেশের পাসপোর্ট' সহ কানপুরে এক কিশোরসহ ৫ আটকের ঘটনায় রহস্য বাড়ছে

ভয়েস ৯, নিউজ ডেস্কঃ উত্তরপ্রদেশের কানপুরে ১৩টি পাসপোর্ট ও ৫টি আধার কার্ড-সহ মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে ১৭ বছরের এক কিশোরও রয়েছে। এর ফলে মনে করা হচ্ছে, উত্তরপ্রদেশে আবার অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের বিষয়টি সামনে আসছে।
 অভিযুক্তদের মধ্যে চারজনের কাছে ভারতীয় ও বাংলাদেশের দুটি পাসপোর্ট থাকলেও পুলিশ তাদের কাছ থেকে নগদ ১,০০১ ডলার (প্রায় ৮২,৫৬০ টাকা) সহ নগদ ১৪.৫৬ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। পুলিশের দাবি, বিষয়টির মধ্যে জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত গুরুতর কোনো ঘটনা থাকতে পারে। কানপুর পুলিশের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত চারজনের নাম রিজওয়ান মোহাম্মদ (৫৩), খালিদ মজিদ (৭৯), হিনা খালিদ (৪৫) এবং রুখসার রিজওয়ান (২১)। 
পুলিশ জানিয়েছে, খালিদ হিনার বাবা। "জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাদের বাংলাদেশি পাসপোর্ট, জাল আধার কার্ড, নগদ ১৪ লাখ ৫৬ হাজার টাকা এবং তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া বৈদেশিক মুদ্রা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে পারেনি। আটকের সময় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা জানায়, তারা ২০১৬ সাল থেকে ভারতে রয়েছে। খালিদ মজিদ একজন ভারতীয় নাগরিক এবং হিনাও তাই। তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্টও পাওয়া গেছে," বলা হয়েছে পুলিশের বিবৃতিতে। 
কানপুরের অতিরিক্ত কমিশনার (আইন-শৃঙ্খলা) আনন্দ প্রকাশ তিওয়ারি জানিয়েছেন, পরিবারের সদস্যদের দুটি করে পাসপোর্ট রয়েছে, ভারতীয় ও বাংলাদেশি। জাল আধার কার্ড এবং অন্যান্য জাল নথি পাওয়া গেছ তাদের কাছে, যেটা দেখে মনে হতে পারে তারা ভারতীয়। মূল অভিযুক্ত রিজওয়ান বাংলাদেশের খুলনার বাসিন্দা। আধার কার্ড এবং বৈদেশিক মুদ্রা উদ্ধার এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে একাধিক পাসপোর্ট একটি গুরুতর পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে," তিনি বলেন। 
 মূলগঞ্জ থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১৯ (ছদ্মবেশ ধারণ করে প্রতারণার শাস্তি), ৪২০ (প্রতারণা), ৪৬৭ (মূল্যবান নিরাপত্তা, উইল ইত্যাদি জালিয়াতি), ৪৬৮ (প্রতারণার উদ্দেশ্যে জালিয়াতি), ৪৭১ (প্রতারণামূলকভাবে বা অসৎভাবে কোনও জাল নথি বা বৈদ্যুতিন রেকর্ডকে আসল হিসাবে ব্যবহার করে) এবং ১২০-বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) এবং বিদেশী আইনের ১৪ ধারায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। 
কানপুরের অতিরিক্ত কমিশনার (আইন-শৃঙ্খলা) আনন্দ প্রকাশ তিওয়ারি জানিয়েছেন,তাদের কাছ থেকে একটি কাগজ উদ্ধার করা হয়েছে যেখানে সিসামাউয়ের বিধায়ক ইরফান সোলাঙ্কি ২০১৯ সালে তাকে (রিজওয়ান) কানপুরের বাসিন্দা হিসাবে শংসাপত্র দিয়েছিলেন। আরও একটি কাগজ উদ্ধার করা হয়েছে যেখানে কাউন্সিলর মন্নু রেহমান তার কানপুরের বাসভবনকে শংসাপত্র দিয়েছেন। সোলাঙ্কি, একজন সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে একটি অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তিনি এবং তার ভাই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করার পরে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। 
 পুলিশ দাবি করেছে যে, অভিযুক্তের কাছ থেকে পাওয়া নগদ অর্থের পরিমাণ এবং সেইসাথে নথিগুলির প্রকৃতি বিবেচনা করে বিষয়টি "জাতীয় নিরাপত্তার সাথে সম্পর্কিত" হতে পারে। 
আনন্দ প্রকাশ তিওয়ারি বলেন, 'যেভাবে নগদ টাকা এবং একাধিক পাসপোর্ট পাওয়া গেছে, যেভাবে তারা তাদের পরিচয় গোপন করেছে এবং যেভাবে একজন নির্বাচিত প্রতিনিধি তাদের ঠিকানা প্রত্যয়িত করেছেন, তাতে এটা সম্ভব যে তিনি (রিজওয়ান) এজেন্ট, সম্ভবত তিনি অন্য কোন অবৈধ কার্যকলাপের সাথে জড়িত। এটাও সম্ভব যে রাষ্ট্রদ্রোহের কিছু গুরুতর কাজও সামনে আসতে পারে।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad