মুখ্য সচিব সুরেশ চন্দ্র মহাপাত্র এক মাসের মধ্যে এটি কার্যকর করার জন্য সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন। শনিবার মুখ্য সচিব নন্দনকানন পরিদর্শন করেন এবং চিড়িয়াখানায় বেশ কয়েকটি উন্নয়নমূলক কাজ পর্যালোচনা করেন।
প্রশাসনের আশা, এই রোপওয়ে চালু হলে দর্শনার্থীরা এই খোলা চিড়িয়াখানার এক অপূর্ব এরিয়াল ভিউ দেখতে পারবেন, যা একেবারে নতুন ধরণের আনন্দ দেবে তাদের। এক দিনে প্রায় ৩,০০০ দর্শক রোপওয়েতে চড়তে পারবেন।
আশা করা হচ্ছে, চলতিবছর রাজ্যের ও বাইরে থেকে আসা বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী চিড়িয়াখানায় ভিড় করবেন। এই রোপওয়েটর সাহায্যে দর্শনার্থীরা বোটানিক্যাল গার্ডেন এবং নন্দনকানন চিড়িয়াখানায় ভ্রমণ করতে পারবে। মুখ্য সচিব সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন যে দর্শনার্থীদের জন্য নির্ধারিত কাজগুলি তাড়তাড়ি শেষ করতে হবে। তিনি এদিন চুডাঙ্গা সংরক্ষিত বন এবং কৃষ্ণনগর প্রস্তাবিত বন পরিদর্শন করেন।
চিড়িয়াখানায় বেশ কয়েকটি উন্নয়নমূলক কাজের মধ্যে রয়েছে, বনএলাকায় সিংহ, বাঘ, ভালুক এবং কয়েকটি তৃণভোজী প্রাণী সাফারি তৈরি। সাফারির অভ্যন্তরে চলাচলের জন্য যানবাহনের ব্যবস্থা এবং একটি পশুচিকিত্সা হাসপাতালও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মুখ্য সচিব সাফারি প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করারও নির্দেশ দিয়েছেন বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে।
নন্দনকাননের কিয়াকানি হ্রদটি ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে পুনরুদ্ধার করা হবে, যেখানে একটি বোটিং ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। মুখ্য সচিব বোটানিক্যাল গার্ডেনের একটি এন্ট্রি গেট, একটি অ্যাক্সেস রোড, টয়লেট এবং একটি ফুটপাত সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজও পর্যালোচনা করেছেন।