দামোদরে তলিয়ে যাওয়া তারকেশ্বর ডিগ্রি কলেজের ছাত্রের দেহ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ গতকাল পিকনিকে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি ধনিয়াখালি থানার গোপিনগরের বাসিন্দা নীলাঞ্জন বসু। আজ তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হল। গতকাল বন্ধুদের সঙ্গে নি-ইয়ার্স উদযাপন করতে গিয়ে মর্মান্তিকভাবে নিশ্চিন্দপুরের দামোদর নদে ডুবে গিয়েছিল সে। এদিকে, গতকাল থেকে যে দুঃশ্চিন্তার ছায়া গোটা এলাকাকে ঘিরে রেখেছিল, আজ তা বাঁধভাঙ্গা শোকে পরিণত হয়েছে। জানা গেছে, গতকাল বেলা সাড়ে ১২ টা নাগাদ বন্ধুদের সঙ্গেই দামোদরে স্নানে নেমেছিল নীলাঞ্জন। কিন্তু, সে আচমকাই কীভাবে ডুবে গেল, তা নিয়ে সকলেই বিভ্রান্ত। নীলাঞ্জনের ডুবে যাওয়ার খবরে ধনিয়াখালি থানা থেকে পুলিশ আসে। শুরু হয় তল্লাশী।
গতকাল দুপুর থেকে তল্লাশী চললেও নীলাঞ্জনের কোন হদিশ পাওয়া যায় নি। জাল ফেলেও খোঁজ পাওয়া যায় নি তার। এরপর খবর দেওয়া হয় ডুবুরীদের। কিন্তু ডুবুরীরাও তার হদিশ করতে পারেনি। রাত পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়েও তার দেহ উদ্ধার করা যায় নি। তবে তখন, অনেকেই বিশ্বাস করতে শুরু করেছিল, হয়ত, নীলাঞ্জন আর বেঁচে নেই। অবশেষে আজ সকাল থেকেই জলে নামে স্পীড বোট আর ডুবুরী। বেলা ১২ টার পর তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। জানা গেছে, নীলাঞ্জন তারকেশ্বর ডিগ্রি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল। তার এই আচমকা মৃত্যু কেউ মেনে নিতে পারছে না। সকলের মুখেই এই হাসি-খুশি ছেলেটির চলে যাওয়া বিরাট শোকের সৃষ্টি করেছে। এদিকে, অনেকেই অভিযোগ করেছেন, নীলাঞ্জন সাতার জানত, ও জেনে বুঝেই  জলে ঝাঁপ দেয়, তাহলে কীভাবে জলে ডুবে তার মৃত্যু হতে পারে? কলেজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্ররা এই মৃত্যুর উপযুক্ত তদন্ত দাবি করেছে।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad