জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁরা খবর পান, এই ন'জন অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী হাওড়ায় এসে বাড়ি ভাড়ার সন্ধানে ছিলেন। এই তথ্য পাওয়ার পর, হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় নজরদারি শুরু করে গোলাবাড়ি থানার পুলিশ।
নজরদারী চলাকালীন পুলিশের চোখে পড়ে দুটি গাড়ি। গাড়ির আরোহীদের সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তারা গাড়িগুলি থামিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে পরিচয় প্রমাণ দাবি করে।
জানা যায়, ওই ১০ জন যাত্রীর মধ্যে ৯ জনই অবৈধ বাংলাদেশি বাসিন্দা, যাদের মধ্যে ৬ জন পুরুষ ও ৩ জন মহিলা। তাদের কারও কাছে ভারতে আসার জন্য যথাযথ কাগজপত্র ছিল না এবং তাদের সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া স্থানীয় এজেন্ট অবৈধভাবে তাদের সীমান্ত অতিক্রম করতে সাহায্য করেছিল।
তাদের বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্ট, ১৯৪৬-এর বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, "প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে তারা মূলত চাকরির উদ্দেশ্যেই ভারতে আসে। গ্রেপ্তার হওয়া স্থানীয় এজেন্টের সাহায্যে কর্মসংস্থানের জন্য তাদের ব্যাঙ্গালোরে যাওয়ার কথা ছিল। তারা কীভাবে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করেছিল, বিশেষ করে যে এলাকা দিয়ে তারা অনুপ্রবেশ করেছিল তা জানার জন্য এখন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আজ তাঁদের হাওড়া জেলার নিম্ন আদালতে পেশ করা হবে। নিয়ম অনুযায়ী পুলিশ বিষয়টি কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনকে জানাবে।