আয়োজক কমিটির প্রধান পঞ্চানন মুন্ডা জানান, পৌষের শেষ দিনে তাদের সম্প্রদায়ের সাথরানী উৎসবের অংশ হিসেবে সুদীর্ঘকাল ধরে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে এবার প্রতিযোগিতায় মোরগের সংখ্যা কম ছিল।
জমজমাট এই মোরগ লড়াই দেখতে স্থানীয়দের পাশাপাশি বাইরের জেলার শত শত মানুষ এসেছিলেন ঘেরী মুন্ডাপাড়ায়। এই লড়াইয়ে মোরগের পায়ে ধারালো চাকু লাগিয়ে দেওয়া হয়। এ কাজের জন্য এবার নিযুক্ত ছিলেন ২০ জনেরও বেশি অভিজ্ঞ।
লড়াইয়ে কোনো কোনো মোরগ একের পর এক প্রতিযোগীকে হারিয়ে তিন-চারবার লড়াইয়ে নামে। কোনোটি অংশ নিতে না চাইলে সেটিকে বিক্রি করে দেওয়া হয়। আর প্রতিযোগিতা শেষে কেজি দরে বিক্রিও করে দেয়া হয়।
কালিগঞ্জ উপজেলার ডেমরাইল গ্রামের শিবপদ মন্ডল চারটি মোরগ নিয়ে এসেছিলেন প্রতিযোগিতায়। তার তিনটি মোরগই পরাজিত হয়েছে, জয় ছিনিয়ে আনতে পেরেছে একটি। আর শ্যামনগর উপজেলার কৈখালি গ্রামের নিরাপদ মন্ডল একটি মোরগ এনে পরপর তিনবার বিজয়ী হয়েছেন।