নিহত মোঃ শরিফ উদ্দিন ওই গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। ইদ্রিস আলী একই গ্রামের মৃত করিম উদ্দিনের ছেলে এবং বানিয়াজান ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির বর্তমান সভাপতি। ধনবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচএম জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী চায়ের দোকানদার হায়দার আলীসহ স্থানীয়রা বলেন, মঙ্গলবার সাড়ে ৭টার দিকে দোকানের পাশে বসে শরিফ। হঠাৎ করে ইদ্রিস ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথায় কোপ দিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়ারা তাকে উদ্ধার করে।
এদিকে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ইদ্রিস আলীর স্ত্রী খালেদা বেগম বলেন, রাতে পুলিশ এসে তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে।
নিহতের মা হাজেরা বেগম বলেন, রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপালের নেয়ার পথে মধুপুরে মারা যায় শরিফ। পূর্ব শত্রুতার দ্বন্ধে ইদ্রিস শরিফকে খুন করেছে। আমরা এর বিচার চাই। শরীফ ও ইদ্রিস সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা।
শরিফ উদ্দিনের স্ত্রী আফরোজা বেগম বলেন, আমার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমার অবুঝ মেয়াটার এখন কি হবে। সে আর বাবা বলে ডাকতে পারবে বলে কান্না করতে করেমে মুর্ছা যান।
এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিচার দাবি করে স্থানীয় ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন জবান বলেন, এই ঘাতকের কঠোর বিচার হওয়া দরকার।
ওসি এইচএম জসিম বলেন, ঘটনার সংবাদ পেয়ে রাতেই ঘাতককে গ্রেপ্তার করে বুধবার আদলতে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের বড় ভাই বাবুল হোসেন বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।