পুলিশ জানায়, মঞ্জুরুল স্থানীয় আক্তারের ফার্মে এবং নাহিদ বিভিন্ন স্থানে দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন। তারা দুইজন উপজেলার দুর্গাপুরের নোয়াপাড়া এলাকায় একটি রুমে ভাড়া থাকতেন। গত কয়েকদিন আগে মঞ্জুরুলের ১ হাজার ৫০০ হারিয়ে যায়। এ টাকা নাহিদ নিয়েছেন বলে সন্দেহ করা হয়।
পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে নাহিদের মা-বাবাসহ বিভিন্ন জনের কাছে বিচার দেওয়া হয়। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় মঞ্জুরুলের মাথায় দা দিয়ে ছয়টি কোপ দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরে মরদেহ বস্তাবন্দি করে ফার্মের পাশের একটি ডোবায় ফেলা দেওয়া হয়। কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কামরান হোসেন জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেল পর্যন্ত মঞ্জুরুলকে খুঁজে না পেয়ে তার ভাই মোস্তাকিম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে তদন্তের স্বার্থে রুমমেট নাহিদকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে, মধ্যরাতে আক্তার মিয়ার গরুর ফার্মের পাশে একটি ডোবা থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) নিহতের ভাই মোস্তাকিম বাদী হয়ে নাহিদের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।