সাংবাদিক সম্মেলনে ‘দিদির দূত’ ও ‘সুরক্ষা কবচ’ নিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের কী করণীয় ও এই কর্মসূচির ব্যাখ্যা দিলেন বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত

নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁশবেড়িয়াঃ ‘দুয়ারে সরকার’এর ব্যপক সাফল্যের পর এবার সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি। কিন্তু, ‘ দিদির দূত’ ও ‘সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি কী ও তার মাধ্যমে কীভাবে রাজ্যের গ্রাম ও শহরের মানুষ উপকৃত হচ্ছেন বা হবেন, অ্যাপের মাধ্য মে কীভাবে রাজ্যের নাগরিকরা সেই সুবিধা পেতে পারেন, বা বিভিন্ন প্রকল্পের ব্যাপারে তাদের সমস্যার কথা কীভাবে জানাবেন, সে ব্যাপারে সামগ্রিক ব্যাখা দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সপ্তগ্রামের বিধায়ক জনপ্রিয় তৃণমূল নেতা তপন দাশগুপ্ত। এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাঁশবেড়িয়া পৌঁরসভার চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী সহ জেলাস্তরেরে নেতারা।
একইসঙ্গে জানালেন এই কর্মসূচি ৭ দিন ধরে চলবে ও রাজ্যের ৩৩৪৩ পঞ্চায়েত ১২৫ টি পুর এলাকায় এই কর্মসূচি পালন করা হবে।
এই কর্মসূচিতে রাজ্যের সাংসদ, বিধায়ক, জেলা-নেতা, জেলা পরিষদ কর্মাধ্যক্ষ, পঞ্চায়েত সদস্য, কাউন্সিলর ও নেতারা অঞ্চলে একদিন ও পুর এলাকায় একদিন এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। বাঁশবেড়িয়ার হংসেশ্বরী গেস্ট হাউসে এ ব্যাপারে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। এই সাংবাদিক সম্মেলনে এই নতুন কর্মসূচির সামগ্রিক ব্যাখ্যা দিয়ে এই কর্মসূচির গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি তিনি তুলে ধরেন। 
একইসঙ্গে তিনি জানান, সারা দেশে কোন রাজনৈতিক দল রাজ্যের মানুষের স্বার্থে এতগুলি প্রকল্প ও তার বাস্তবায়ন করতে পারে নি। উল্লেখ্য, গত ২ জানুয়ারী নজরুল মঞ্চে তৃণমূল সুপ্রীমো মমতা ব্যানার্জী ও জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জী সুরক্ষা কবচ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। রাজ্যের গ্রাম বা শহরের সমস্ত মানুষ যাতে ৬ টি ক্ষত্রে ১৫ টি প্রকল্পের সুবিধা পায় তা বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেখবেন ‘দিদির দূত’।
এদিন, সাংবাদিক সম্মেলনে তপনবাবু জানালেন, এই ৬ টি ক্ষেত্র হলো – স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আবাস, খাদ্য, উপার্জন ও সামাজিক সুরক্ষা। আর ১৫ টি প্রকল্প হলো –শিক্ষাশ্রী, কন্যাশ্রী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, স্বাস্থ্যসাথী, মানবিক পেনশন, লক্ষীর ভান্ডার, বিধবা ভাতা, জয় বাংলা পেনসন, সামাজিক সুরক্ষা যোজনা, ক্রৃষক বন্ধু, যুবশ্রী, খাদ্যসাথী, বাংলার আবাস যোজনা, নিজ ভূমি, নিজ বাড়ি। বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত জানান, এ বার এই সমস্ত কর্মসূচি দিদির দূতেরা যাবেন বাড়ি বাড়ি মানুষকে বোঝাতে। দল-মত-বর্ণ-ধর্ম নির্বিশেষে সমস্ত মানুষের কাছে গিয়ে তারা কী কী সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন, কী কী পাননি খতিয়ে দেখবেন তারা। 
 আর এই কাজের জন্য দলকে সময় দিতে হবে। শহর ও গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে যেতে হবে। যারা দিদির দূত হিসেবে বাড়ি বাড়ি পৌঁছবেন তারা থাকা-খাওয়া কর্মীদের বাড়িতে সারবেন। একেবারে ডাল ভাত সাদামাটা অনাড়ম্বর পরিবেশে তাদের এই কাজ চালিয়ে যেতে হবে দিদির নির্দেশে।
তিনি বলেন, বিগত ১১ বছরে রাজ্যের জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য মুখ্যমন্ত্রী একের পর এক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি নিয়ে এসেছেন। এ ব্যাপারে তিনি জনগনকে তাদের সমস্যাগুলি নিয়ে দিদির দূতের কাছে খোলাখুলি জানানোর অনুরোধ জানিয়েছেন, যাতে সমাধানসূত্র পাওয়া যায়। তিনি বলেন, এলাকায় একটি করে জনসভা হবে। 
দিদির দূতেরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনগণের সমস্যা ও তাদের প্রতিক্রিয়া অ্যা পের মাধ্যকমে রেকর্ড করবেন। এছাড়া, তিনি কর্মীদের জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করার কথা বলেন।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad