তার এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে। সূত্রের খবর, জোড়ায় স্থানীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন শুভশ্রী। তিনি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দোতলায় বাস করতেন এবং নিচতলায় রোগীদের চিকিৎসা করতেন। তবে নববর্ষ উপলক্ষে তিনি সেদিন কোন রোগী দেখেন নি বলে জানা গেছে। পরে, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কয়েকজন কর্মী পুলিশকে জানায়, ডক্টর শুভশ্রী করকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না।
খবর পেয়ে, পুলিশের একটি দল স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছায় এবং দেখে শুভশ্রীর ঘরটি ভিতর থেকে বন্ধ। এরপর তারা বাড়ির দরজা ভেঙে কেবল তাকে তার বিছানায় অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। তাঁকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
শুভশ্রীর সন্দেহজনক মৃত্যু তার সহকর্মী এবং কর্মীদের মধ্যে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। তারা জানতেন, ওই ডাক্তার তার চাকরি এবং জীবন নিয়ে খুশি ছিলেন। পরিস্থিতিগত প্রমাণ থেকে জানা যায় যে তিনি আত্মহত্যা করে মারা গেছেন, কিন্তু অনেকে এটা মেনে নিতে পারছেন না। তাদের অনেকে বলেছেন যে তাকে পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হতে পারে।
তবে, আত্মহত্যা বা হত্যার কারণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। জোডা পুলিশ জানায় যে তার পরিবারের সদস্যদের জানানো হয়েছে এবং এই বিষয়ে আরও তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও যথাযথ তদন্তের পর তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানান জোদা আইআইসি।