তিনি বলেন, “গল্পের বই, সাহিত্যের বই এর প্রতি আকর্ষণ কমে যাচ্ছে, বিক্রি বাড়ছে জ্ঞান বাড়ানোর বই।“ তিনি ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান, একটা করে অন্ততঃ বই কিনুন। এটা আপনার সম্পদ হয়ে থাকবে।
এদিন গ্রন্থমেলা উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলাশাসক নকুল চন্দ্র মাহাতো, সদর মহকুমা শাসক সৈকত গাঙ্গুলী, বাঁশবেড়িয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী, ভাইস চেয়ারম্যান শিল্পী চ্যাটার্জি সহ অন্যান্যরা।
উল্লেখ্য, হুগলি জেলা গ্রন্থ মেলা এবার পা রেখেছে ৩৬ বছরে। কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ও শহরে বইমেলার আয়োজন বইপ্রেমীদের যোগাচ্ছে বাড়তি অক্সিজেন। একইসঙ্গে বই এর সঙ্গে পাঠকদের সম্পর্ক আরো নিবিড় হচ্ছে।
ইন্টারনেট ডিজিটাল বই ও নানা ধরণের সোস্যাল মিডিয়ায় নতুন প্রজন্মের একটা বিরাট অংশ মজে থাকায়, এমনিতেই ফিজিক্যাল বুকের বিক্রির সংখ্যা প্রায় তলানিতে ঠেকেছে, কিন্তু জেলায় জেলায় ও নানা শহরে বইমেলার আয়োজন হওয়ায় নতুন প্রজন্মকে কিছুটা বইমুখী করা যাবে, বলে অনেকে মনে করছেন। এইরকম পরিস্থিতে, হুগলি জেলা যে ৩৫ টা বছর পার করেছে, তা থেকে বোঝা যায়, এখনো বইমেলার প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়নি।
বরঞ্চ, এইরকম মেলা আবার বই পড়ার নেশার জন্ম দিতে পারে বলে অনেকের অভিমত। হুগলি জেলা গ্রন্থমেলা নিয়ে এর আগে বাঁশবেড়িয়া পৌরসভা হলে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। এবারের জেলা গ্রন্থমেলার আঙ্গিক হল স্বাধীন ভারতের প্রথম ও আদর্শ শিক্ষামন্ত্রী মৌলানা আবুল কালাম আজাদ।