চান্দেশ্বর টহল ফাঁড়ির ইনচার্জ ফারুক আহম্মেদ এই খবর দিয়েছেন।
ইনচার্জ ফারুক বলেন, শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ২টার দিকে তিনটি বাঘ তাদের অফিস প্রাঙ্গণে ঢুকে পড়ে। শনিবার দুপুরে আবার তারা বাঘগুলোকে ঘুরতে দেখেন। এখনও বাঘগুলো অফিসের দক্ষিণ পাশে নদী তীরে অবস্থান করছে। বনকর্মীরাও সতর্ক থেকে বাঘের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছেন।
চান্দেশ্বর পড়েছে সুন্দরবনের পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জে। রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ সামসুল আরেফীন জানান, এখন বাঘের প্রজননকাল। তাই সঙ্গীসহ বাঘগুলো নিজস্ব প্রকৃতিতে চলাচল করছে। তাদের কোনো ক্ষতি না করতে বনরক্ষীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গ
ত ১২ জানুয়ারি শরণখোলা রেঞ্জে লোকালয়ে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পান এলাকাবাসী। পায়ের ছাপগুলো ভিন্ন আকৃতির বলে সে সময় বনকর্মীরা জানান। তাদের ধারণা একাধিক বাঘ এসেছিল। বাঘগুলো আবার বনে চলে যায় বলেও বনকর্মীরা জানান। গত ৩০ জানুয়ারি পূর্ব বন বিভাগে পশ্চিম আমুরবুনিয়া গ্রামে একটি বাঘ এক জেলেকে আক্রমণ করে। তার দুই দিন পর একই গ্রামের বাসিন্দারা কয়েকবার বাঘের গর্জন শুনতে পান।
পৃথিবীর বিপন্ন প্রজাতির মধ্যে অন্তত ৩১টি টিকে আছে সুন্দরবনে। তাদের মধ্যে ১২ প্রজাতির প্রাণী বেশি দেখা যায় সুন্দরবনে। বিপন্ন প্রজাতির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বাঘ, মদনটাক, রাজগোখরা, লোনাপানির কুমির প্রভৃতি। ইউনেসকো সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যকে বিশ্বের জন্য অনন্য সম্পদ বলে ঘোষণা করেছে। বঙ্গোপসাগরে উৎপন্ন বেশির ভাগ ঝড় বাংলাদেশের ওপর দিয়ে যায়। কিন্তু সেই ঝড়ের গতিবেগ অর্ধেক কমিয়ে দেয় সুন্দরবন। আর সুন্দরবনের অন্যতম রক্ষক হচ্ছে বাঘ।