ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটঅ্যাওয়ারে দেখা গেছে, ইন্ডিগোর ফ্লাইট 6E 1736 ১২ মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২২.০৫ মিনিটে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড়ে যায়। বিমানটির রাত ১১.৪৩ মিনিটে দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণকরার কথা ছিল।
কিন্তু, আজ সকাল ০০টা ৮ মিনিটে করাচি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে বিমানটি। করাচি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারের কাছে জরুরি অবতরণের অনুমতি চেয়েছিলেন বিমানের পাইলট।
প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করাচিতে অবতরণের আগেই আবদুল্লাহ (৬০) নামের ওই নাইজেরিয়ান যাত্রীর মৃত্যু হয়। এটিসি ইন্ডিগো পাইলটকে অনুমতি দেয় এবং বিমানবন্দরে একটি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছিল।
এর আগে পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদ চ্যানেলগুলো জানায়, বিমানটি দুবাইগামী ছিল। এক বিবৃতিতে ইন্ডিগো জানিয়েছে, দিল্লি থেকে দোহাগামী ইন্ডিগোর ফ্লাইট 6E 1736 জরুরি অবস্থার কারণে করাচির দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। দুর্ভাগ্যবশত বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর বিমানবন্দরের মেডিকেল টিম ওই যাত্রীকে মৃত ঘোষণা করে।
ফ্লাইটওয়্যার জানিয়েছে, বিমানটি এখনও করাচি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রয়েছে। পাকিস্তানের স্থানীয় নিউজ চ্যানেল এআরওয়াই নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিএএ ও এনআইএইচের চিকিৎসকরা পাসেঞ্জের ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করেছেন।
২০২২ সালের জুলাই মাসে ইন্ডিগোর একটি বিমান পাকিস্তানের করাচির জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করেছিল। হায়দ্রাবাদ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ যাওয়ার কথা ছিল বিমানটির। আধিকারিকরা তখন জানিয়েছিলেন, তারা "প্রযুক্তিগত ত্রুটির" কারণে প্রতিবেশী পাকিস্তানের করাচিতে একটি বিমানের গতিপথ পরিবর্তন করেছিল। জানা গেছে, দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে অনির্ধারিত অবতরণের এটি ছিল দ্বিতীয় ঘটনা।