বিধানসভায় অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের মধ্যে বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে সরকার বদ্ধপরিকর। আর এই উদ্দেশ্যে রাজ্য বাজেটে বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে অভিযানে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আইনজীবী, সচেতনতা তৈরি, অভিযান ও হেল্পলাইনের ক্ষেত্রে এই টাকা খরচ করা হবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের বছরের ফেব্রুয়ারিতেই বাল্যবিবাহ রুখতে মাঠে নামে অসম সরকার। অভিযানে নেমে হাজারের বেশি আইনভঙ্গকারীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও হাজারের বেশি মানুষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
মেয়েদের উপর বাল্যবিবাহের প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি। বিশেষত স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং সামাজিক উন্নয়নের প্রেক্ষিতে।
উন্নয়নশীল বিশ্বে ১৫-১৯ বছর বয়সী নারী মৃত্যুর প্রধান কারণ গর্ভধারণ ও সন্তান প্রসব। পৃথিবীর সর্বোচ্চ বাল্যবিবাহের দেশ নাইজার, যেখানে প্রতি ৪ জনের মধ্যে ৩ জন মেয়ের বিয়ে হয় তাদের ১৮তম জন্মদিনের আগেই।
ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, "বিশ্বজুড়ে শিশুদের অবস্থা-২০০৯" শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০-২৪ বছর বয়সী নারীদের ৪৭% -এর বিয়ে হয়েছে ১৮ বছর বয়সে, এর মধ্যে গ্রামাঞ্চলে ১৮ বছরের পূর্বেই বিয়ে হয়েছে ৫৬% -এর। ২০১১ এর আদমশুমারি অনুযায়ী, ভারতে মেয়েদের বিয়ের গড় বয়স ২১ বছর। ২০০৯ এর এক জরিপ অনুযায়ী, বাল্যবিবাহের হার কমে ৭% -এ নেমেছে। ২০১১ সালের আদমশুমারিতে তা ৩.৭% -এ নেমে এসেছে।