ভয়েস ৯, নিউজ ডেস্ক,পটনাঃ প্রায় ছয় মাস আগে বিহারের এক 'নিহত' ব্যক্তি মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, ডিজিপি, এসপি, গোপালগঞ্জ এবং দেওরিয়া থানার এসএইচওকে চিঠি লিখে দাবি করেন যে তিনি বেঁচে আছেন এবং উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ জেলায় তাঁর নববিবাহিত স্ত্রীর সাথে বসবাস করছেন।
জানা গেছে, দেওরিয়া গ্রামের মনিভূষণ শ্রীবাস্তবের ছেলে সোনু কুমার শ্রীবাস্তব (৩০) ৫ মাস ২৫ দিন আগে নিখোঁজ হন। তাঁর পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন যে তিনি কিছু জিনিস কিনতে পাটনা গিয়েছিলেন কিন্তু আর বাড়ি ফেরেননি। দু'দিন পর দেওরিয়া থানার অন্তর্গত একটি এলাকায় গলা কাটা অবস্থায় একটি মৃতদেহ পাওয়া যায়। তার বাবা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তার দেহ সনাক্ত করেছিলেন এবং অপহরণ ও হত্যার এফআইআর দায়ের করেছিলেন।
পুলিশকে লেখা চিঠিতে শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, পাটনা থেকে কিছু জিনিস কেনার জন্য ৫০ হাজার টাকা নিয়ে বাসে উঠেছিলেন তিনি। দেওরিয়া চৌকে পৌঁছানোর পর কারও কাছ থেকে ফোন পেয়ে তিনি বাস থেকে নেমে যান।
পুলিশ জানায়,'বাস থেকে নামার পর তিনি কয়েক কিছু দূর হাঁটেন এবং তারপর ্থেকে তার হদিশ পাওয়া যায় নি। আমরা তার বাবার কাছ থেকে একটি নিখোঁজ অভিযোগ পেয়েছি এবং শেষ ফোন কলের অবস্থানের ভিত্তিতে অনুসন্ধান অভিযান শুরু করেছি। আমরা পুরো এলাকায় তল্লাশি চালিয়েছি কিন্তু কিছুই পাইনি। কয়েক দিন পরে, গলা কাটা একটি মৃতদেহ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয় এবং শ্রীবাস্তবের পরিবারের সদস্যরা তাকে তাদের ছেলে হিসাবে চিনতে পারে।'
দেওরিয়া থানার এসএইচও উদয় কুমার সিং বলেন, "আমরা আমাদের থানায় অপহরণ ও হত্যার প্রাসঙ্গিক আইপিসি ধারায় এফআইআর দায়ের করেছি। ওই যুবকের চিঠিতে বলা হয়েছে, পাশের গ্রামের নীলম কুমারী নামে এক মেয়ের সঙ্গে পালিয়ে গাজিয়াবাদে গিয়ে সুখে বসবাস করছেন তিনি। বিয়ের প্রমাণও পাঠিয়েছেন তিনি।
তিনি আরও বলেছিলেন যে থানায় দায়ের করা অপহরণ-খুনের এফআইআর টি ভুল। তার স্বীকারোক্তির পর আমরা তার পরিবারের সদস্যদের কাছে বার্তাটি পৌঁছে দিয়েছি। আরও তদন্ত চলছে," বলেন সিং।