ঝাড়খন্ডে পরিবারের সম্মতি ছাড়াই বিয়ে করায় এক আদিবাসী মেয়েকে মাথা কামিয়ে জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হল

ভয়েস ৯, নিউজ ডেস্কঃ ঝাড়খন্ডের পালামু এলাকায় পঞ্চায়েতের নির্দেশ অমান্য করে নিজের পরিবারের দেওয়া এক ব্যক্তিকে সম্মতি ছাড়াই বিয়ে করার অভিযোগে এক আদিবাসী মেয়েকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জুতার মালা পড়িয়ে মেয়েটিকে শেষ পর্যন্ত রাতের অন্ধকারে   জঙ্গলে ফেলে আসা হল।
 গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ মেয়েটিকে জঙ্গলের মধ্যে খুঁজে পায় এবং তাকে চিকিৎসার জন্য পালামের রাজা মেদিনী রাই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার শরীরের বেশ কয়েকটি অংশে আঘাতের চিহ্ন ছিল। পুলিশ অপরাধীদের খুঁজে বের করার জন্য অনুসন্ধান চালাচ্ছে এবং এই মামলায় এফআইআর দায়ের করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে পাটন থানার অন্তর্গত যোগীডিহ গ্রামে।
 মেয়েটি পিতা-মাতাহীন বলে অভিযোগ। মেয়েটির এক প্রতিবন্ধী ভাই, তিন বিবাহিতা বোন রয়েছে। তাঁর অনুমতি ছাড়াই তাঁর এক বোন লাতেহার এলাকার এক মানিকার বিয়ের আয়োজন করেছিলেন। যুবতী তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। 
প্রতিবাদ সত্ত্বেও ১৯ এপ্রিল বিয়ের শোভাযাত্রা তার বাড়িতে পৌঁছায়, কিন্তু ২০ এপ্রিল অনুষ্ঠানের কিছুক্ষণ আগে মেয়েটি পালিয়ে যায়। তিনি ছাতারপুর পাড়ার একটি মন্দিরে আশ্রয় নিয়েছিলেন। গত ১০ মে তার খুড়তুতো ভাইয়েরা কোনো কারণে তাকে ফোন করে। তাকে পুনরায় বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়। মেয়েটি অস্বীকার করার পরে খুড়তুতো ভাইয়েরা রবিবার স্থানীয় পঞ্চায়েতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। এক ব্যক্তির সঙ্গে 'প্রেমের সম্পর্ক' নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। 
মেয়েটি কথা না বললে তাকে লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। তার খুড়তুতো ভাই এবং ভগ্নিপতিরা এই কাজে অংশ নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এরা কাঁচি দিয়ে নিজের খুড়তুতো ভাইয়ের শ্যালিকার মাথা মুণ্ডন করেন। এরপর তার গলায় পড়ানো হয় জুতোর মালা, কপালে লাগানো হয় জানা যায়, এরপর তাকে তারাহাসি থানার কাছে একটি জঙ্গলে ফেলে আসা হয়। সোমবার অন্য সম্প্রদায়ের কিছু বাসিন্দা তাদের গবাদি পশুচারণের জন্য জঙ্গলে গেলে, এই মেয়েটিকে খুঁজে পাওয়া যায়।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad