শাহিন পাহাড় শরীয়তপুর পৌরসভার উত্তর বালুচরা এলাকার নুর মোহাম্মদ পাহাড়ের ছেলে।
একই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একই এলাকার মুজিবুর খানের ছেলে সজীব খান (২০)।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ এপ্রিল কালবৈশাখী চলাকালীন স্থানীয় আলমগীর বেপারীর নির্মাণাধীন ভবনে টিকটক ভিডিও বানাচ্ছিলেন দুই বন্ধু শাহিন পাহাড় ও সজীব খান।
এসময় ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে পড়ে দুজনই গুরুতর আহত হন। পরে তাদের তাত্ক্ষণিকভাবে ঢাকায় নেওয়া হয়। এক সপ্তাহ চিকিৎসা চলার পর আজ সকালে শাহিন পাহাড় মারা যায়। তার বন্ধু সজীব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিহতের কাকা এলিম পাহাড় বলেন, শাহিন আমার আদরের ভাতিজা ছিল। সে কখনো কারও সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদ করেনি। তবে একটু মোবাইলের শখ ছিল। ঝড়ের সময় টিকটক ভিডিও করার সময় পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সে মারা যায়।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা থেকে মরদেহ বাড়িতে আনা হচ্ছে। রাতেই আমরা দাফন কার্যক্রম শেষ করবো।
সদর পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, এক সপ্তাহ আগে ঝড়ের টিকটক ভিডিও করার সময় ভবন থেকে পড়ে শাহিন পাহাড় ও সজীব খান আহত হন বলে শুনেছি। আজ শুনলাম ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহিন মারা গেছে।