পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাত ১০টার দিকে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফিরছিলেন নাদিম। সরকারি কলেজ মোড় এলাকায় তার মোটরবাইকের গতিরোধ করে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। পরে ১০-১২ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। পরে নাদিমকে গুরুতর আহত করে নির্জন স্থানে ফেলে রেখে যায় সন্ত্রাসীরা।
খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ও সাংবাদিকরা নাদিমকে উদ্ধার করে বকশীগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার অবস্থা আশংকাজনক থাকায় জামালপুর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানেও অবস্থার কোনো উন্নতি না হওয়ায় আজ সকালে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম বকশিগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু’র নারী কেলেঙ্কারি ও অনিয়ম দুর্নীতিসহ নানা খবর প্রকাশ করেন। নাদিমের পরিবারের দাবি এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নাদিমের মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে সাংবাদিকদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। দুপুরে জামালপুর প্রেসক্লাবে নাদিম হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভা থেকে তিনদিনের শোক কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
জামালপুরের পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদ জানান, এটি একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড। পুলিশ এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারের অভিযান চালাচ্ছে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।