যারা ডাক্তারীতে সূযোগ পাবেন না, তারা ফার্মেসী পড়তে পারেন। বহুমুখী সূযোগ

 


যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা মেডিকেল এ সূযোগ পাবেন না, বা যারা বিজ্ঞান নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পড়েছেন, তাদের জন্য খোলা রয়েছে ফার্মেসী পড়ার সূযোগ। বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় বিষয় গুলোর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ফার্মেসি। উন্নত দেশগুলোতে একজন ফার্মাসিস্ট সম্মান ও মর্যাদায় কোন অংশেই চিকিৎসকের চেয়ে কম নয়। কোন ওষুধ নির্ধারুন করার জন্য ফার্মাসিস্ট দের মতামত নিতে হয়। মনে রাখবেন, এমবিবিএস ডাক্তারদের যেমন গুরুত্ব রয়েছে, তেমনই অপরদিকে ফার্মেসি ছাত্র-ছাত্রীদেরও গুরুত্ব অনেক।  ফার্মেসী নিয়ে পাশ করলে মেডিকেল অফিসার, বায়োকেমিস্ট, কেমিক্যাল অফিসার, মেডিসিন কোম্পানির প্রধান ইত্যাদি ডিপার্টমেন্টে কাজ করা যায়। অনেক সম্মান পাওয়া যায় এবং বেতন অনেক বেশি হয়ে থাকে। 

দ্বাদশ শ্রেণির পর  ৪ বছরের বি ফার্ম তারপর এম ফার্ম এবং তারপর পিএইচডি বা ফার্মডি করার সুযোগ আছে।  তারপর দেশে বিদেশে উচ্চশিক্ষা বা গবেষণার সুযোগ তো আছেই। এছাড়াও বি ফার্ম-এর আগে  ৩ বছরের ডি ফার্ম বা ডিপ্লোমা ইন ফারমাসি কোর্সও করা যেতে পারে।

বি ফার্ম কোর্সে ভর্তি হওয়ার জন্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স অথবা প্রতিষ্ঠান বিশেষে আলাদা করে প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হয়।  পরীক্ষায় ৫০ % নম্বর সহ উত্তীর্ণ হওয়া জরুরি। এ ছাড়া ডিফার্ম ডিগ্রি থাকলেও বি ফার্ম-এ ভর্তির সুযোগ পাওয়া যেতে পারে।

ফার্মেসি বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করলে ভবিষ্যতে যে যে চাকরি করা যাবে

এই কোর্সের শেষে কাজ পেতে পারেন, সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে।

কেমিক্যাল বা ড্রাগ টেকনিশিয়ান হিসেবে ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থায়।

বায়োটেকনো ইন্ডাস্ট্রিতে।

ড্রাগ থেরাপিস্ট বা ড্রাগ ইন্সপেক্টর পদে।

সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে  ড্রাগ কোঅরডিনেটার- এর পদে কাজ করার সুযোগ আছে।

আছে হেলথ ইন্সপেক্টর হওয়ার সুযোগও।

বড় ফার্মাসিতে ফার্মাসিস্ট হওয়ার , প্যাথলজিক্যাল ল্যাবে টেকনিশিয়ান-এর পদে,  বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানিতে বৈজ্ঞানিক হিসেবে গবেষণা এবং উদ্ভাবন বিভাগে।  এমন অনেক অনেক কাজের সুযোগ পাওয়া যাবে 

এই বিষয়ে  পড়াশোনার শেষে।

সরাসরি দেশে বা বিদেশে বিভিন্ন কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর সুযোগ তো আছেই।

এছাড়াও যদি মূল কোর্সের শেষে ফারমাসিউটিক্যাল মানেজমেন্ট এর কোর্স করে নেওয়া যায় তাহলে কাজের পরিসর আর বেড়ে যেতে পারে।

অ্যাপেলো, গ্লাক্সো, অ্যাবট- এর মত  বিভিন্ন জাতীয় বা বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানিগুলোতে মেডিক্যাল  রিপ্রেসেনটেটিভ অথবা   মার্কেটিং বা সেলস সংক্রান্ত উচ্চ পদে কাজ করার সুযোগ  পাওয়া যাবে। চাকরি না করেও  নিজস্ব ফার্মেসি বা প্যাথলজিকাল ল্যাব  খুলে স্বনির্ভর হওয়ার সুযোগও  আছে।

 
 

কোথায় পড়বেন

পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব নাম করা ডাক্তারি বা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেই এই কোর্স করানো হয়।

এ ছাড়াও ইন্সটিটিউট অব ফার্মাসি, জলপাইগুড়ি

বি সি ডি এ কলেজ  অব ফার্মাসি

ডাঃ বি সি রায় কলেজ অব ফার্মাসি অ্যান্ড অ্যালায়েড  হেলথ সার্ভিসেস, দুর্গাপুর

এরকম বিশেষ বিশেষ প্রতিষ্ঠানেও পড়ানো  হয় এই কোর্স।

ফার্মাকোলজি পড়ার জন্য প্রতিষ্ঠানের অভাব নেই। স্থান বিশেষে ভর্তির প্রক্রিয়া কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। তবে ভর্তির আগে দেখে নেওয়া দরকার যে প্রতিস্থানটি অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল অব টেকনিক্যাল এডুকেশন (AICTE)  এবংফার্মাসি কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া (PCI) দ্বারা স্বীকৃত কি না। এছাড়াও বেশ কিছু বেসরকারি কলেজ রয়েছে কলকাতা, দুর্গাপুর, উলুবেড়িয়া, কল্যাণী, হলদিয়া-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। ফার্মাসি কোর্সের জন্য ভিন্্ রাজ্যের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে, মনিপাল কলেজ অফ ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সেস, চণ্ডীগড়ের ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট অফ ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সেস, নয়াদিল্লিতে জামিয়া হামদর্দ, পুনের পুনা কলেজ অফ ফার্মাসি, রাঁচির বিড়লা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, উটি, মাইশোরের জেএসএস কলেজ অফ ফার্মাসি, কোয়েম্বত্তুরের পিএসজি কলেজ অফ ফার্মাসি, বেঙ্গালুরুর আল আমীন কলেজ অফ ফার্মাসি, বেনারসের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, গোয়া কলেজ অফ ফার্মাসি, আহমেদাবাদের এলএম কলেজ অফ ফার্মাসি ইত্যাদি।

ব্যাচেলর কোর্সে স্পেশালাইজেশন থাকে না। কিন্তু মাস্টার্স করার সময় ফার্মাসিউটিক্স, ফার্মাকগনোসি, ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি, বায়োকেমিস্ট্রি, ফার্মাসিউটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি ভাগ রয়েছে

 

 

Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad