টার্গেট কিলিং, ভয়ের পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করে ১৯৯০ কে ফিরিয়ে আনা?
6/02/2022 05:37:00 PM
0
নিউজ ডেস্কঃ ভূস্বর্গে আবার ভয়ের পরিবেশ। আর এই পরিবেশে এক নতুন শব্দবন্ধ- ‘টার্গেট কিলিং’। কারা টার্গেট? কেন টার্গেট? উত্তর সোজা। যাদের ভয় দেখালে, সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে একটি নির্দিষ্ট ধর্মের মানুষ আরো বেশি ভয় পাবে, তারাই টার্গেট। সন্ত্রাসবাদীদের মূল লক্ষ্য ১৯৯০ এর মতো ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে নিজেদের অবস্থান জারি রাখা। কেন? কারণ কাশ্মীরি পণ্ডিতরা কাশ্মীরে বসতি স্থাপন করতে
আসছে।
এই উপত্যকায় টার্গেট কিলিং এর নতুন যুগ। বুধবার এক সম্প্রদায়ের নেতা বলেছেন, এই অঞ্চলে একজন হিন্দু স্কুল শিক্ষককে হত্যার পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় ১00 টিরও বেশি হিন্দু পরিবার কাশ্মীর ছেড়ে পালিয়েছে। কাশ্মীরের বারামুল্লার হিন্দু কাশ্মীরি পণ্ডিত কলোনির সভাপতি অবতার কৃষাণ ভাট বলেছেন যে মঙ্গলবার থেকে ওই এলাকায় বসবাসকারী প্রায় ৩00 পরিবারের অর্ধেকই পালিয়ে গেছে। বাসিন্দারা বলেছেন যে পুলিশ শ্রীনগরের একটি হিন্দু এলাকা সিল করে দিয়েছে এবং কাশ্মীরি পন্ডিত সরকারি কর্মচারীদের বসবাসের জায়গাগুলির চারপাশে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। জানা গেছে, জানুয়ারী থেকে এখন পর্যন্ত কাশ্মীর উপত্যকায় পুলিশ আধিকারিক, শিক্ষক, ব্যাঙ্ককর্মী, সরপঞ্চ সহ ১৬ টি ‘টার্গেট কিলিং’ এর ঘটনা ঘটেছে।
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিজিপি দিলবাগ সিং বলেছেন যে উগ্রপন্থীরা সংখ্যালঘু, বেসামরিক ব্যক্তি এবং সরকারের লোকদের টার্গেট করছে। তাদের মূল লক্ষ্য "শুধুমাত্র ভয়” প্রচার করা। কারণ কাশ্মীরের স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের নির্দেশে সাড়া দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।"
কাশ্মীরে টার্গেট কিলিং নিয়ে চলমান ক্ষোভের মধ্যে একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর প্যাকেজের অধীনে, সরকার উপত্যকায় পোস্ট করা কাশ্মীরি হিন্দু এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সমস্ত কর্মচারীদের নিরাপদ স্থানে রাখবার নির্দেশ দিয়েছে। ৬ জুনের মধ্যে কর্মীদের নিরাপদ স্থানে সরানোর প্রক্রিয়া শেষ হবে। একই সঙ্গে কর্মচারীদের সমস্যার দ্রুত সমাধানের জন্য একটি বিশেষ অভিযোগ সেল গঠন করা হবে।ই-মেইলের মাধ্যমে সেলে অভিযোগ করা যাবে। সময়মতো সমস্যার সমাধান না করা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা আজ প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এই নির্দেশ জারি করেছেন।
Tags