একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম হওয়ায় শম্পার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বইছে বলে জানা গেছে।
প্রসূতি শম্পা যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া এলাকার মালয়েশিয়া প্রবাসী কুদ্দুস মোল্লার স্ত্রী।
শম্পা জানিয়েছেন, ২০১২ সালের ২৬ জুলাই কুদ্দুস মোল্লার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। জরায়ুর সমস্যার কারণে ১০ বছর ধরে তিনি সন্তান ধারণ করতে পারছিলেন না। সবশেষ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকায় অন্তঃসত্ত্বা হন তিনি। ইতিপূর্বে আলট্রাসনোগ্রাম করায় তারা চার সন্তান হওয়ার বিষয়টি জানতেন। সন্তান হওয়ার খবর জেনেই চার মাস আগে কর্মের সন্ধানে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান তার স্বামী কুদ্দুস মোল্লা।
তিনি আরও জানান, আগামী ১৯ আগস্ট সন্তান প্রসবের দিন ছিল। প্রসব বেদনা ওঠায় সোমবার বিকেলে কুইন্স হসপিটালে ভর্তি হন তিনি। এরপর রাতে সিজারের মাধ্যমে ডা. প্রতিভা ঘরাইয়ের তত্ত্বাবধানে চার সন্তানের জন্ম হয়। এদের মধ্যে দুটি ছেলে ও দুটি মেয়ে সন্তান।
শম্পা বেগম জানান, তার স্বামীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে। তিনি খুব খুশি। চার সন্তানের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।
কুইন্স হাসপাতালের চিকিৎসক প্রতিভা ঘরাই বলেন, নবজাতকদের স্বাভাবিক ওজন হলো আড়াই কেজি। কিন্তু এই চার নবজাতকের মধ্যে একজনের ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় কম হওয়ায় তাকে আদ্-দ্বীন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওই শিশুটি দ্রুত সুস্থতা লাভ করবে বলে আমরা আশাবাদী।
বসুন্ধরা ইউনিয়নের নারী ইউপি সদস্য বলেন, শম্পা তার সম্পর্কে ভাগ্নে বউ। তাদের বংশের মধ্যে কারোর জমজ সন্তানই নেই। এমনকি আমাদের ইউনিয়নও কারোর একসঙ্গে চার সন্তান হয়েছে বলে জানা নেই। ফলে আমরা খুব খুশি।
যশোর কুইন্স হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবীর কবু বলেন, আমাদের হাসপাতালে ইতিপূর্বেও এক মা চার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। সেই সন্তানরা সবাই সুস্থ আছে। আজ আরেক মা একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। একটি সন্তান ওজন কম হওয়ায় কিছুটা অসুস্থ। তাকে পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে বিশেষ তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। দ্রুতই শিশুটি সুস্থ হয়ে উঠবে। এছাড়া এই মায়ের সঠিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে আমি নিজেই নজরদারি করছ।