আগুন লাগার কারণে রামরাজ ঘটনাস্থলেই মারা গেলেও তার স্ত্রী ও ছেলে বেঁচে যান।
জানা গেছে ওই ব্যবসায়ীর নাম রামরাজ, বয়স ৫৮। গাড়িতে ছিলেন তার ৫৭ বছরের ও ২৫ বছরের ছেলে।
দুর্ঘটনায় ওই ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়। স্ত্রী-পুত্র বেরিয়ে এসে প্রাণ বাঁচান। কিন্তু, দু'জনেই আগুনে পুড়ে যান। পুলিশ জানিয়েছে, দু'জনকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।
পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, রামরাজের এই পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য ছিল না। মঙ্গলবার রামরাজ তাঁর স্ত্রী ও পুত্রকে বাইরে খেতে যাওয়ার কথা বলেন। তিনি বাড়িতে ওয়ার্ধা রোডের একটি হোটেলে যাওয়ার কথা বললেও বাড়ি থেকে বেরনোর পর অন্য পথে মাঝ রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে দেন।
পুলিশ গাড়িটি থেকে একটি চিরকুট পেয়েছে, যেখানে রামরাজ লিখেছেন যে তিনি ব্যবসায় ন ক্ষতির কারণে আত্মহত্যা করছেন। করোনা মহামারির পর থেকে তারা ব্যবসায়িক ক্ষতি হচ্ছিল। সেই কারণেই এমন পদক্ষেপ করেছেন তিনি। স্থানীয়দের কাছ থেকে পুলিশ যে তথ্য পেয়েছে, তাতে জানা গেছে রামরাজের নাট-বল্টু তৈরির ব্যবসা ছিল।