সাধারণ মানুষের উপর বোঝা বাড়িয়ে কর ছাড় কর্পোরেট সংস্থায়? ক্ষোভ মানুষের
7/18/2022 11:12:00 AM
0
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ভারতের একটা বিরাট অঙ্কের মানুষ এখনো দারিদ্র্য-সীমার নিচে। বেকার মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। চাকরি না পাওয়ার কারণে নয়।দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে। একদিকে করোনা, অন্যদিকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বহু সংস্থা। সাধারণ মানুষের আয় ক্রমশঃ কমছে। সংসার চালিয়ে ছেলেমেয়েদের শিক্ষিত করতে গিয়ে জীবন জেরবার। প্রথমে লাগাতার গ্যাস, ডিজেল ও পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধি, তারপর জি এস টি ের নামে নিম্ন-মধ্যবিত্তদের ভাঙ্গা সংসারে আগুন লাগানোর ব্যবস্থা আপাতত সম্পূর্ণ করল কেন্দ্রিয় সরকারের দূরদর্শীতা। আয়কর ফাকি দিচ্ছে যদুরা, ফল ভোগ করবে মধুরা।কথাগুলো বলছিলেন বাজার করতে আসা কয়েকজন মানুষ। বললেন, শুধু কেন্দ্রিয় সরকারকে দোষ দিচ্ছেন কেন? আলুর জন্য মাসে কত বেশি দিতে হয় জানেন? মাসে এই সময় যা দাম থাকে, তার দ্বিগুন দাম চলছে গত ৬ মাস ধরে। ৪০০ টাকা বেশি দিতে হয় মশাই। গ্যাসের চেয়ে কম। তাই আলু কেনাই কমিয়ে দিয়েছি।
কেন্দ্রিয় সরকার আজ থেকে জিএসটির সংশোধিত হার চালু করেছে। ফলে বাড়ছে কর। প্যাকেটজাত পণ্যের পাশাপাশি লেবেল লাগানো পণ্যের দামো বাড়ছে। “দুঃখের বিষয় ছাড় পাচ্ছে না ছাত্র-ছাত্রীরাও। কালি, শার্পনার, কাগজ সহ বেশ কিছু জিনিষের দাম বাড়ছে। ফলে, সরকারের দরদী মুখোশটা যে নেহাতই মুখোশ, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।“ কথাগুলো বললেন, মেয়েকে নিয়ে কলেজে ভর্তির আবেদন করতে আসা এক অভিভাবক।
এক অধ্যাপকের কথায়, এই সরকার সংসদে মুখ বন্ধ রাখার চেষ্টা করছে শব্দের তালিকা ঠিক করে দিয়ে। মানুষের মুখ বন্ধ করছে নানা উপায়ে। আর ডিজিটাল মিডিয়ার মুখ বন্ধের জন্য আনতে চলেছে নতুন রেজিশট্রেশন আইন। এভাবে, সরকারের আর্থিক দৈনতা ঢাকা যায় না।
Tags