জানা গেছে, বাংলাদেশের নড়াইল জেলার লোহাগড়ায় গত (১৫ জুলাই) শুক্রবার বিকেলে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে হিন্দু বাড়িতে হামলা ও আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। নড়াইলের মির্জাপুরের ঘটনার রেশ না কাটতেই ধর্ম অবমাননার অভিযোগে ফের লোহাগড়ায় হিন্দু বাড়িতে হামলা ও আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৫ জুলাই) বিকেলে উপজেলার দিঘলিয়া গ্রামের সাহা পাড়ায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের এক পোস্টের নিচে ধর্মীয় অবমাননামূলক মন্তব্য করার অভিযোগ তুলে তার বাড়িতে হামলা ও আগুন দেয় উত্তেজিত জনতা।
এলাকা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই শিক্ষার্থী গত ১৪ জুলাই ফেসবুকে একটি ধর্মীয় পোস্টের নিচে মন্তব্য করেন। পরের দিন বিকেলে এলাকার লোকজন তার বাড়ির সামনে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা ৫-৬টি ঘর ভাংচুর করে। পরে একটি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে দুই রুম বিশিষ্ট টিনের ঘর পুড়ে গেছে। এছাড়া সাহাপাড়ার মন্দিরের চেয়ার ও সাউন্ডবক্স ভাংচুরসহ ইট ছুঁড়েছে বিক্ষুদ্ধরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র্যাচব মোতায়েন রয়েছে।
দিঘলিয়া ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য প্রভাত কুমার ঘোষ বলেন, উত্তেজিত জনতা বাড়িঘরে ভাংচুর ও মন্দিরে হামলা করেছে। একটি বাড়িতে আগুন দিয়েছে।
লোহাগড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারান চন্দ্র পাল বলেন, যে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছিল, তা নেভানো সম্ভব হয়েছে। ওই শিক্ষার্থী ও তার বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় বলেন, ঘটনাস্থলে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। ধর্ম অবমাননার বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।