এমনই এক আশংকার কথা বলা হয়েছে নেচার জার্নালে প্রকাশিত এই বিষয়ের উপর প্রথম গবেষণাপত্রে। এছাড়া নাসা থেকে পাঠানো উপগ্রহ চিত্রে তা ধরা পড়েছে।
লস এঞ্জেলেসের কাছে নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির (জেপিএল) গবেষকদের নেতৃত্বে এবং নেচার জার্নালে প্রকাশিত এই ধরনের প্রথম গবেষণাটি জলবায়ু পরিবর্তন কতটা দ্রুত অ্যান্টার্কটিকার ভাসমান বরফের শেলফগুলকে দুর্বল করছে এবং বিশ্বব্যাপী সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিকে দ্রুত করছে সে সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
১৯৯৭ সাল থেকে অ্যান্টার্কটিকার বরফের শেলফগুলির ভর ১২ ট্রিলিয়ন টন কমে গেছে, যা পূর্ববর্তী অনুমানের দ্বিগুণ। এর অর্থ হলো অতি দ্রুত গলন। বিজ্ঞানীরা একসময় জানতেন যে উষ্ণ সমুদ্রের দ্বারা নীচে থেকে বরফের শেলফগুলি গলে যাওয়ার কারণে হিমবাহগুলি পাতলা হয়ে যাচ্ছে।
গবেষণার প্রধান লেখক বিজ্ঞানী চাদ গ্রিনের মতে, মহাদেশের বরফের চাদরের নিট ক্ষতি প্রায় ৩৭,০০০ বর্গ কিলোমিটার (১৪,৩০০ বর্গ মাইল) জুড়ে বিস্তৃত, যা সুইজারল্যান্ডের আকারের প্রায় সমান।
তিনি বলেছেন, "অ্যান্টার্কটিকা ভেঙে পড়ছে। যখন বরফের শেলফগুলি আয়তনে কমে যায় এবং দুর্বল হয়ে পড়ে, তখন মহাদেশের বিশাল হিমবাহগুলি গলনের গতি বাড়িয়ে তোলে এবং একইসঙ্গে বিশ্বব্যাপী সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির হার বাড়িয়ে তোলে। এর পরিণাম হতে পারে ভয়ঙ্কর। নাসার মতে, ২০০২ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বছরে গড়ে ১৪৯ মিলিয়ন টন ক্ষতি হচ্ছে।
ছবিঃ নাসা