নীতীশ কুমারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং তাঁর দলের সংসদীয় দলের চেয়ারম্যান উপেন্দ্র কুশওয়াহা আজ সকালে টুইট করে স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে নীতীশ কুমার এখন প্রধানমন্ত্রীর পদ চান। যদিও নীতীশ তা অস্বীকার করেছেন
সূত্রের খবর, কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে দু'বার ফোনে কথা হয়েছে নীতীশ কুমারের। সম্ভবত ২০২৪-এর নির্বাচনে বিরোধী দল থেকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হবেন নীতীশ। এমনও হতে পারে যে, তাঁর প্রার্থীপদ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ আরও কিছু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে বিশেষ বার্তা দিতে চাইছেন সনিয়া গাঁধী।
নীতীশের রাজনীতি এবং রাজনৈতিক মতাদর্শ, যা অনগ্রসর শ্রেণির অন্তর্গত, সমাজতন্ত্রের এই ধারণার উপরও নির্ভর করে। তাই তিনি জাতিভিত্তিক জনগণনার প্রবল সমর্থক। যখন থেকে বিজেপি জাতিগত আদমশুমারি অস্বীকার করেছে এবং আরজেডি দৃঢ়ভাবে সেই পক্ষে সমর্থন করেছে, তখন থেকেই নীতীশ এবং আরজেডির মধ্যে দূরত্ব ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে শুরু করে ।
আজ আবারও জয়প্রকাশ নারায়ণের (লালু যাদব এবং নীতীশ কুমার) দুই শিষ্যকে একসঙ্গে দেখা যায়। বিশেষ বিষয় হল, নীতীশও বিজেপির হিন্দুত্বের মেরুকরণের বিরোধী এবং রামধনু রাজনীতির সমর্থক।
কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন বিজেপি নির্বাচনের আগে ২০১৪ ও ২০১৯ সালে জনবিদ্বেষ সংক্রান্ত অনেক প্রতিশ্রুতি দিলেও নিচুতলায় তা হয়নি। মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব, জিএসটি-র জেরে খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, তেল-গ্যাসের দাম বৃদ্ধি-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে মধ্যবিত্তের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। এই প্রতিবাদে বিজেপির পাশাপাশি ক্ষুব্ধ হতে হয় জেডিইউকেও। তাই বিজেপি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে জনমুখী হওয়ার প্রমাণ পেশ করেছে জেডিইউ।