অতীতের তিনটি তাইওয়ান সংকট ও আজকের মার্কিন-চীন উত্তেজনা

ভয়েস ৯, নিউজ ডেস্কঃ হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির বিমান স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাইওয়ানের মাটি স্পর্শ করেছিল। কিন্তু তার এই সফরের আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় উত্তেজনার পারদের উর্ধগতি। মার্কিন নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর ২৪টি যুদ্ধবিমান ন্যান্সির বিমানকে এসকর্ট করে নিয়ে যায়। কারণ, সেই উত্তেজনার বাতাবরণ। চিনের সরকারি সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস এর আগে জানিয়েছিল, তাইওয়ানের দিকে গেলে পেলোসির বিমান ওড়ানো হতে পারে। পরে আরও বলা হয়, পেলোসির বিমান ঘিরে ফেলবে চিনা বায়ুসেনার বিমান। বেইজিং মার্কিন সফরকে 'এক-চীন নীতির' প্রতি ওয়াশিংটনের প্রতিশ্রুতির প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে দেখেছে।
এদিকে, ন্যান্সির এই সফরের ফলে চীনের মূল ভূখন্ড থেকে সতর্কবার্তা ছড়িয়ে পড়ে এবং তাইওয়ান প্রণালী নামে পরিচিত এই অঞ্চলে চতুর্থ সংকটের ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৫৪, ১৯৫৮ এবং ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে অনুরূপ ঘটনার পর এটি হবে চতুর্থ তাইওয়ান প্রণালী সংকট। চীন তাইওয়ানকে তার ভূখণ্ডের অংশ হিসাবে দেখে, এবং এটাকে "এক-চীন নীতির" প্রতি ওয়াশিংটনের প্রতিশ্রুতির লঙ্ঘন হিসাবেও দেখছে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ওয়াশিংটনকে বলেন, 'তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের সঙ্গে তার বিশ্বাসঘাতকতা তার জাতীয় বিশ্বাসযোগ্যতাকে দেউলিয়া করে দিচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন উভয়ই এই সফরের আগে এই অঞ্চলে সামরিক ক্রিয়াকলাপ বাড়িয়েছে, চীনের ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড পেলোসি তাইপেইতে অবতরণের কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাইওয়ানের চারপাশে সমস্ত দিক থেকে যৌথ বিমান ও নৌ অভিযান শুরু করেছে। চীন কয়েক মাস ধরে সামরিক মহড়ার চালাচ্ছিল। এর মধ্যে রয়েছে তাইওয়ানের জলসীমায় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা এবং দ্বীপটিতে আক্রমণের মহড়া দেওয়া। অন্যদিকে, নিকটবর্তী জলসীমায় দুটি বিমানবাহী রণতরী যুদ্ধ দল পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে, এই অঞ্চলে উত্তেজনার পারদ ক্রমশঃ চড়ছে।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad