সে ইন্দাপুরের নারায়ণদাস রামদাস উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ত। ১৩ মার্চ শেষ পরীক্ষার খাতা জমা দেওয়ার আগেই সে মারা যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাম্প্রতিক অতীতে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা এটিই প্রথম নয়। হার্ট অ্যাটাকের কারণে যুবকদের ভেঙে পড়া এবং মারা যাওয়ার বেশ কয়েকটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।
কিন্তু, এখনো পর্যন্ত সরকারী স্তরে এর কারণ নির্ণয়ের সেরকম উদ্যোগ চোখে না পড়ায় অল্পবয়সীদের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে। গত শীতেও, এক ৮ বয়সের বালিকা ট্রেনে স্কুলে যাওয়ার পথে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়।
এছাড়া, প্রতিদিন, বহু মানুষ এরকম আচমকাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন। বহু খবর সংবাদ মাধ্যম পর্যন্ত যাচ্ছে না। ফলে, সংখ্যাটা ঠিক কত, তা আন্দাজ করা সম্ভব নয়। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে, কাজেই স্বাভাবিক মৃত্যু হিসাবেই ধরা হচ্ছে, কিন্তু, এটা কি বাড়ছে, বা কেন অল্পবয়সীরা আচমকাই হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছে, সেটা এবার ভেবে দেখা দরকার বলে অনেকেই মনে করছেন।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে পুনের মারুঞ্জির মামাসাহেব মোহাল কুস্তি সঙ্কুলে অনুশীলন করতে গিয়ে মারা যান স্বপ্নিল পাদালে নামে এক কুস্তিগীর।
জিমে পড়ে যাওয়ার পর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, ইউরোপিয়ান সোসাইটি অফ কার্ডিওলজির প্রকাশনা ইউরোপিয়ান হার্ট জার্নালে সাম্প্রতিক একটি প্রকাশনা প্রথম প্রমাণ করেছে যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লুএইচও) সীমার উপরে ওজোন স্তরগুলি হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেইলিওর এবং স্ট্রোকের (ইএসসি) জন্য হাসপাতালে ভর্তির সঙ্গে উল্লেখযোগ্যভাবে যুক্ত। এমনকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সীমার নীচে ওজোন ঘনত্বও স্বাস্থ্যের অবনতির সঙ্গে সম্পর্কিত।