প্রতিকী ছবি
সম্প্রতি দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় রাজশাহীর উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে এ অভিযোগের সত্যতা পায়। দুদকের অভিযান পরিচালনাকারী টিম উপজেলা সমাজসেবা অফিস থেকে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে এবং উপজেলা সমাজসেবা অফিসার কাঞ্চন কুমার দাসের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলে তার বক্তব্য রেকর্ড করে। পরে সরেজমিনে গিয়েও সত্যতা পায় দুদক।
সুবিধাভোগী এক নারী বলেন, আমার স্বামী বেঁচে আছে। আমি বিধবা ভাতার টাকা পাই। এটা করা ঠিক হয়নি। কেন নিজ হাতে আমার স্বামীকে মেরে ফেলব?
মোবারকপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মাহামুদুল হাসান বলেন, আমি চলতি বছরের জানুয়ারিতে দায়িত্ব পেয়েছি। আমার সময়ে এমন কোনো অনিয়ম হয়নি। আগের ইউপি সদস্যরা এমন কাজ করেছেন বলে দাবি করেন তিনি।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার দাস বলেন, স্বামী বেঁচে থাকতেও বিধবা ভাতার টাকা নিচ্ছেন এটা খুবই দুঃখজনক । এমন কয়েকজনের কার্ড এরইমধ্যে ফেরত নেওয়া হয়েছে। বাকি সব বইও সংগ্রহ করেছি, যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর যে চেয়ারম্যান-মেম্বাররা এসব অবৈধ কাজে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।