যাই হোক, পার্থবাবুর গ্রেপ্তারের আগের দিন দলের কিছু নেতা-কর্মীদের রীতিমতো সতর্ক করে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী এবং দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক। পরের বছরের গ্রাম-পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে দলকে বার্তা দিয়েছিলেন দূর্নীতিমুক্ত করার। এরপর, বেশ কিছু দলীয় সভায় একই বার্তা দিয়ে অভিষেক বলেছিলেন, তাবেদারী করে নয়, কাজ দেখাতে হবে, মানুষের কাছে যেতে হবে। পাশাপাশি, তিনি বুঝিয়ে দেন, যারা দূর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকবেন বলে অভিযোগ পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার মানে, দল পরোক্ষে স্বীকার করে নিয়েছে, দলের মধ্যে এরকম কিছু নেতা বা কর্মী আছেন, যাদের জন্য দলের সুনাম নষ্ট হচ্ছে।
এর মধ্যে নতুন তৃণমূল নিয়ে বেশ কিছু হোর্ডিং মানুষের কাছে বিষয়টা আরও পরিস্কার করে দেয়। তারা মনে করে, দল সে ২০১১ সালের অবস্থায় ফিরতে চায় তাদের সততার আদর্শ নিয়ে।
আজ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। মেয়ো রোডের এই সভায় উপস্থিত থাকবেন মমতা ও অভিষেক দুজনেই। কাজেই, আজ তাদের কাছ থেকে একটা বার্তা যাবে ছাত্রসমাজ ও ছাত্র-পরিষদের নেতা-নেত্রীদের কাছে। কিন্তু কী সেই বার্তা? কলেজে কলেজে ভর্তি নিয়ে বা টাকা আদায় করা নিয়ে যে অভিযোগ উঠতো, সেই ব্যাপারে কোনো বার্তা দেওয়া হবে? না কি, সামগ্রিকভাবে দলের ছাত্র সংগঠনএর কাছে সেই স্বচ্ছতার বিষয়টা উঠে আসবে নেত্রীর বার্তায়। কারণ, যে সময়ে আজ এই প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন হতে যাচ্ছে, তখন এস এস সি কেলেঙ্কারী নিয়ে উঠে-পড়ে লেগেছে ইডি-সিবিআই।