ঘটনাটি হরিদ্বারের বাহাদারাবাদ থানা এলাকার মারগুবপুর গ্রামের। স্বামী ইনামুলহাক ও স্ত্রী সিতারার ঝগড়ার পরিণতিতে প্রাণ গেল দুজনের। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে স্বামীকে কুড়ুল দিয়ে খুন করে সিতারা। নিজের বাবাকে সৎ মায়ের হাতে খুন হতে দেখে ছেলে তৌহিদ নিজেকে আর স্থির রাখতে পারেনি। সে তার সৎ মাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
জানা গেছে, সিতারা ছিলেন ইনামুলহাকের দ্বিতীয় স্ত্রী। ১০ বছর আগে ইনামুলহাকের প্রথম স্ত্রী মারা যান এবং দু বছর আগে তিনি সিতারাকে বিয়ে করেন। সিতারার আগেও বিয়েও হয়েছিল।তার একটি মেয়েও আছে। প্রথম স্বামীর সঙ্গে তার বিবাহবিচ্ছেদ হওয়ার পর তিনি ইনামুলহাককে বিয়ে করেন।
জানা গেছে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হত। লুধিয়ানায় সিতারা একাই থাকতেন। শনিবার রাতে তিনি তার জিনিসপত্র নিয়ে গ্রামে আসেন। জানা গেছে, গ্রামে আসার পর থেকেই সৎসন্তানের সঙ্গে বচসা শুরু হয়েছিল সিতারার।
এ নিয়ে অশান্তি এতটাই বেড়ে যায় যে, রাগের মাথায় সিতারা তার স্বামী ইনামুলহাককে কুড়ুল দিয়ে হত্যা করে। ছেলে তৌহিদ বাবার হত্যার খবর পেয়ে বাড়িতে পৌঁছে রাগের মাথায় সৎ মাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। খুন করার পর সে নিজেই থানায় পৌঁছে যায়। বাহাদারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত য়াধিকারিক এই খবর জানান।