বিভিন্ন সূত্রে মৃতের সংখ্যা ভিন্ন ভিন্ন পাওয়া যাচ্ছে। বিবিসি দাবি করেছে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ জন। তবে, একটা সূত্র দাবি করছে, এখনো পর্যন্ত ২৫ জন নারী, ১৩টি শিশু এবং নয় জন পুরুষের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক
(রাজস্ব) তথা তদন্ত কমিটির প্রধান দীপঙ্কর রায় জানান, “নৌকা ডুবির
ঘটনায় রোববার ২৫ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছিল। সোমবার ভোর থেকে আবার শুরু হয় অভিযান। নামে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও পুলিশ। সোমবার আরও ২৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে মোট ৫১ জনের লাশ উদ্ধার করা
হয়েছে। এর মধ্যে সাতটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে দিনাজপুরের আত্রাই নদী থেকে।”
তিনি আরও জানান,“সোমবার সন্ধ্যা নামার পর দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান স্থগিত
ঘোষণা করা হয়েছে। তবে উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা করতোয়া নদীর পাড়েই থাকবেন। মঙ্গলবার
ভোর থেকে আবার অভিযান শুরু হবে।”
গতকাল ঘটনাস্থল থেকে ৩৫ কিমি দূরে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার আত্রাই নদী থেকে আরো ৫ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। এদের মধ্যে ৪ জন নারী ও ১ জন শিশু। এই লাশগুলি আত্রাই নদীর বাসুলী চেয়ারম্যান পাড়া, জয়ন্তীয়া ঘাট ও ঘাটপার থেকে পাওয়া গেছে।
এদের শনাক্ত করা হয়েছে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার শক্তিপদ রায়ের স্ত্রী ঝর্ণা বালা রায় (৫২), বোদা উপজেলার সহিন রায়ের স্ত্রী সুমিত্রা রাণী, বিমল চন্দ্র রায়ের ছেলে সূর্য রায়, ঠাকুরগাঁও সদরের অনন্ত রায়ের স্ত্রী পুষ্পারাণী (৫২) ও দেবীগঞ্জ উপজেলার ভূপেন রায়ের স্ত্রী রুপালী রায় (৩৭) হিসাবে। এর আগে ঘটনাস্থল থেকে ১৬ কি.মি. দূরে দেবীগঞ্জ ব্রিজ ও শালডাঙ্গা ইউনিয়নের ধুলাঝারি এলাকার করতোয়া নদী থেকে ১৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।