এই ঘটনায় নিহতের ছোট ছেলে খোরশেদ আলম ও ভাগ্নে আহাদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়া বড় ছেলেকে আটকের জন্য অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে জমি লিখে দেওয়াকে কেন্দ্র করে ছেলেদের সাথে আরশেদ আলীর ঝামেলা চলছিল। সম্প্রতি মসজিদের নামে ১০ শতাংশ জমি লিখে দিলে ছেলেদের সাথে বাবা আরশেদ আলীর বিরোধ চরমে পৌঁছায়। এ নিয়ে এলাকাবাসী সমঝোতা করার চেষ্টা করলেও ছেলেরা বাবার ওপর ক্ষিপ্ত থাকে।
এরই ধারবাহিকতায় রোববার, ২৫ সেপ্টেম্বর সকালে বৃদ্ধ আরশেদ আলীকে বাড়ি থেকে ডেকে পাশের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায় তার দুই ছেলে এবং নাতি (ছোট মেয়ের ছেলে)। এরপর লোহার হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। আরশেদ আলীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বড় ছেলে খবির পালিয়ে যায়। এসময় ছোট ছেলে খোরশেদ আলম এবং নাতি আহদকে এলাকাবাসী আটক করে।
এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল কামরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরেই এই হত্যাকান্ড ঘটেছে। অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি একজন ভুক্তভোগীর বড় ছেলে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।