সুবিক্ষার বাবা মা কানাডার ক্যালগারিতে বাস করেন আর সেই সূত্রেই কানাডায় থাকতেন সুবিক্ষা। সেখানেই পরিচয় হয় টিনার সঙ্গে। সুবিক্ষার বাবা চেয়েছিলেন ওদের দুজনের বিয়েটা কানাডাতেই হোক। কিন্তু আপত্তি তোলেন সুবিক্ষা। তিনি বলেন, “কানাডায় বিয়ে হলে আমার পরিবারের কেউ সেখানে থাকতে পারতো না, আমার দাদী সেখানে থাকতে পারতেন না।“
প্রশ্ন উঠেছিল, সুবিক্ষার পরিবার কি এই সমকামী বিয়েকে মেনে নিয়েছিলেন? সুবিক্ষা বলেছিলেন, “আমরা যখন বিয়ের পরিকল্পনা শুরু করি, তখন সবাই সমর্থন করেছিল। সৌভাগ্যবশত, আমাদের খুব বেশি বাধা ছিল না।" কিন্তু ভারতে বিয়ে করা নিয়ে তার বাবার একটা আপত্তি ছিল, সেটা হলো সমাজ। তার তামিল ব্রাম্ভণ সমাজ বিয়ের বিরুদ্ধে কোনও ধরণের আন্দোলন বা প্রতিবাদ করবে কি না। তিনি একটু নার্ভাস ছিলেন।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভারতেই হলো এই সমকামী বিয়ে।
কিন্তু টিনা। তিনি কীভাবে নিলেন এই বিয়েটাকে। আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার পর টিনা বলেন, 'আমার খুব ভালো লাগছে কারণ এই প্রথম আমি তামিলনাড়ুতে এসেছি এবং আমি জানি না কীভাবে আমার অনুভূতি প্রকাশ করতে হয়। বিয়েটা ছিল অসাধারণ, ঠিক স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো।“
টিনা বলেন, “আমি বাংলাদেশের রক্ষণশীল হিন্দু বাংলাদেশি পরিবার থেকে এসেছি। বাংলাদেশিরা খুবই রক্ষণশীল এবং তারা মনে করে সমকামী হওয়া একটি অপরাধ। মাত্র ১৯ বছর বয়সে আমি এক পুরুষের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলাম। আমার সঙ্গে কথা বলার কেউ ছিল না। বিয়ের ৪-৫ বছর ধরে আমার মনে হয়েছিল, কিছু একটা নেই। আমাকে আমার পরিবার বা নিজের মধ্যে একটি বেছে নিতে হয়েছিল। শেষপর্যন্ত, আমি আমার সুখকে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।“
ছবি সৌজন্যঃ পিকচার মেকার্স ও ইন্ডিয়া টুডে