কোচবিহারকে জেলা হিসাবে নয়, রাজ্য হিসাবে দেখার দাবি গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের

রায়া গুপ্তা, শিলিগুড়িঃ কীভাবে কোচবিহার রাজ্য থেকে জেলাতে পরিণত হল সেই প্রশ্ন আবার তুলে ‘ভারত ভূক্তি চূক্তি’ র পূর্ণাংগ রূপায়নের দাবি তুললেন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের মাথাভাঙ্গা ২ ব্লক সম্পাদক পরিমল বর্মন। 

উল্লেখ্য, ব্রিটিশ শাসনে কোচবিহার একটি রাজ্য ছিল আর এই রাজ্য শাসন করতেন কোচ রাজারা। এদের বংশকে শিব বংশ হিসাবে বর্ণনা করা হয়। ১৯৪৯ সালের ২৮ শে আগস্ট কোচবিহার ভারতের সঙ্গে যুক্ত হয়। ব্রিটিশ শাসনের শেষে কোচবিহারের রাজা মহারাজা জগদ্দীপেন্দ্র নারায়ণ এবং ভারত সরকারের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। এর ফলে, ১৯৪৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ভারত সরকারের কাছে রাজ্যের সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব, এখতিয়ার এবং ক্ষমতা হস্তান্তর করেন তিনি। কোচবিহারকে একটা রাজ্য হিসাবে পরিচালনার জন্য ভি আই নানজাপ্পা নামে এক ব্যক্তিকে চিফ কমিশনার করে কোচবিহারে পাঠানো হয়। অবশেষে, ১৯৫০ সালের ১৯ জানুয়ারি কোচবিহার পশ্চিমবঙ্গের অংশ হয়ে ওঠে, যার সদর দপ্তর ছিল কোচবিহার শহর। আজ সেই ভারত ভূক্তির দিন। এদিন সকালে নিশিগঞ্জ বাজারে গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে কোচবিহারের ভারত ভুক্তি সংযুক্তি দিবস পালিত হল। উত্তোলন করা হলো ভারতের জাতীয় পতাকা ও নিজেদের সংগঠনের পতাকা। 
এই সভায় গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের মাথাভাঙ্গা ২ ব্লক সম্পাদক পরিমল বর্মন বলেন, এই দিনটি কোচবিহারবাসীর কাছে একটি বিশেষ দিন, কারণ এদিন কোচবিহার ভারতের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল। তবে আমরা ভারত ভূক্তি চুক্তি পূর্নাঙ্গ রূপায়ণের দাবি করছি। কিভাবে কোচবিহার রাজ্য থেকে জেলা হল সেই প্রশ্ন দীর্ঘদিন ধরে তুলে আসছি।’

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad